বান্দরবানের লামায় চাঁদাবাজির অভিযোগে এক কিশোরসহ তিনজন গ্রেপ্তার
Published: 5th, October 2025 GMT
বান্দরবানে লামা উপজেলার সরইয়ে গতকাল শনিবার রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন এক কিশোরসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হস্তান্তর করেছে।
এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গভীর রাতে এলাকায় গিয়ে একটি পরিবার থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। তিনজনই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বলে আজ রোববার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চারজন তরুণ লামা-সুয়ালক সড়কের তংগোঝিরি ত্রিপুরাপাড়ায় যান। পাড়ায় বাগানের মালিক মাসাইয়া ত্রিপুরার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ধরে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তিনজনকে আটক করেন এবং একজন পালিয়ে যান। আটকেরা হলেন বান্দরবান সদর ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যাপাড়ার চ হ্রী মারমার ছেলে বুইক্য মারমা (৩৬), আলীকদমের রেফারফাড়ি এলাকার মেনওয়াই ম্রোর ছেলে মেনয়ুক ম্রো (৩৫) ও রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের ১৪ বছরের এক কিশোর।
তংগোঝিরিপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) হানাসিং ত্রিপুরা জানিয়েছেন, পাড়ার মাসাইয়া ত্রিপুরা থেকে প্রথমে এক লাখ এবং পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। এরপর এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি মিলে তিনজনকে আটক করলেও একজন পালিয়ে যায়।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, মাসাইয়া ত্রিপুরা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। তিনজনই নিজেদের ইউপিডিএফের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। তবে মূল ইউপিডিএফ নাকি ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক তাঁরা বলেননি। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেপালে ভূমিধস ও বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নেপালে গত ৩৬ ঘন্টায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ফলে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার নেপালের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে জানিয়েছেন, ভারতের সীমান্তবর্তী পূর্বাঞ্চলীয় ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ নেপালে বজ্রপাতে তিনজন এবং পূর্ব নেপালের উদয়পুর জেলায় বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার থেকে বন্যায় ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিআরআরএমএ) মুখপাত্র শান্তি মাহাত রয়টার্সকে বলেছেন, “তাদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চলছে।”
ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিঞ্জি শেরপা বলেছেন, “দেশীয় বিমান চলাচল মূলত ব্যাহত হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব নেপালে কোশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে একজন জেলা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সুনসারী জেলার জেলা গভর্নর ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র বলেছেন, কোশি নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
তিনি জানান, কোশি ব্যারেজের ৫৬টি স্লুইস গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশন করা যায়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ব্যারেজের ১০ থেকে ১২টি গেট খোলা থাকে।
ঢাকা/শাহেদ