তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় পদযাত্রা
Published: 5th, October 2025 GMT
বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে তিস্তা মহাপরিকল্পনা উদ্বোধনের দাবিতে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ গাইবান্ধা জেলা শাখার পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে আয়োজকরা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে বের হয়। সেটি জেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা.
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। দীর্ঘদিন ধরে পানি বন্টন চুক্তি না হওয়া এবং ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে এ অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। একদিকে ভারতের পানি প্রত্যাহার, অন্যদিকে ভাঙন এই দুই কারণে বাংলাদেশ অংশে নদীটির তীরবর্তী মানুষদের জীবন জীবিকা ও বসতি হুমকির মধ্যে পড়েছে। তিস্তায় প্রয়োজনের সময় পানি না পাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার মানুষদের দারিদ্র্যতার হার বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এই অঞ্চলের জনসাধারণের নানা বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
কম্পিউটার ভাইরাসের জন্ম ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর
আধুনিক ডিজিটাল জীবনযাত্রার এক অনিবার্য অনুষঙ্গ কম্পিউটার। সেই কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের মাধ্যমে আমাদের তথ্য চুরির ঝুঁকি থাকে। ভাইরাসের কারণে পুরো কম্পিউটার অচল হয়ে যেতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাসের শুরু হয়েছিল সাধারণ একটি পরীক্ষা থেকে।
কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামের মধ্যে অন্যতম হলেন গবেষক ফ্রেড কোহেন। তিনি ১৯৮০–এর দশকে ভাইরাস প্রথমবার বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেন। কম্পিউটার ভাইরাসের ধারণাগত আলোচনা অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। বাস্তব ও কার্যকরী প্রমাণ আসে ১৯৮৩ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রকৌশল স্নাতক ফ্রেড কোহেন তাঁর অধ্যাপক অ্যাডলম্যানের তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করার সময় একটি ছোট প্রোগ্রাম তৈরি করেন। প্রোগ্রামটি নিজেকে একটি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে কপি করতে ও অন্যান্য প্রোগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সক্ষম ছিল। বিষয়টা ঠিক একটি জৈবিক ভাইরাসের মতো।
১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বরে একটি ভিএএক্স ১১/৭৫০ কম্পিউটারে মাত্র আট লাইনের কোড ব্যবহার করে কোহেন তাঁর এই নমুনা ভাইরাসটির পরীক্ষা চালান। কোহেনের তৈরি করা এই প্রোগ্রাম মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমের সব নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেদ করে সিস্টেমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণভাবে অন্য একটি প্রোগ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম ছিল। ফ্রেড কোহেনই প্রথম ব্যক্তি যিনি এ ধরনের সফটওয়্যারের জন্য কম্পিউটার ভাইরাস শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি তাঁর গবেষণা প্রবন্ধে কম্পিউটার ভাইরাসের একটি স্পষ্ট সংজ্ঞা দেন। তিনি বলেন, একটি প্রোগ্রাম যা অন্য প্রোগ্রামকে সংক্রমিত করতে পারে এবং নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে। তাঁর গবেষণাপত্র ১৯৮৪ সালে কম্পিউটার ভাইরাসের গবেষণা শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়।
সূত্র: ওয়্যার্ড ডট কম