‘মা সংসারটাকে আগলে রাখতেন। সবার জন্য ভাবতেন। আমরা বড় হয়েছি, তারপরও কোথাও যাওয়ার সময় মাকে না বলে যেতাম না। বাড়িতে ঢুকেই আগে মাকে ডাকতাম। মা পরপারে চলে গেছেন, এখন কাকে মা ডাকব?’

কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোজিনা বেগমের (৫০) ছোট ছেলে রইসুল ইসলাম। রোজিনা উপজেলার পশ্চিম বেলকা গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আবুল হোসেনের স্ত্রী। গত শনিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনগাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে নারীর মৃত্যু০৫ অক্টোবর ২০২৫

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বেলকা গ্রামে বাড়ির উঠানে মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে রোজিনার ছোট ছেলে রইসুলের সঙ্গে প্রথম আলোর এ প্রতিবেদকের কথা হয়। এ সময় পাশেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বড় ছেলে রুবেল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মায়ের ভালোভাবে চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেয়নি। সবকিছু বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।’

বাড়ির উঠানেই কবর দেওয়া হয়েছে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোজিনা বেগমকে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইল কারাগারে আ. লীগ নেতার মৃত্যু

টাঙ্গাইল কারাগারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে তিনি মারা যান। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কারাগারের জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। 

আরো পড়ুন:

সৌদি আরবে পুলিশের গুলিতে প্রবাসী নিহত, পরিবারে শোক

বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ১৭

মারা যাওয়া সুলতান মিয়া উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের হরিরপাড়া গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। তিনি গোড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার মধ্যরাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সুলতানকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

গত বছরের ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক-সংলগ্ন গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ চলাকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামের হিমেলের দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হিমেলের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলি আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ মোট ১০০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গত ২৮ অক্টোবর সুলতানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রায় এক মাস তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ছিলেন।

জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল আলম বলেন, ‍‍“ময়নাতদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে দেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ