প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে গতকাল শেষ হয়নি বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা। মুলতবি সভার বাকি অংশ হয়েছে আজ মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে।

সভায় বিসিবির ২৩টি স্থায়ী কমিটির প্রধানের দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে নবনির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে, সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএলের পরের আসর আয়োজনেরও।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল প্রধানের দায়িত্বটা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম নিজের কাছেই রেখেছেন। গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন সদস্যসচিব হয়েছেন ইফতেখার রহমান। সর্বশেষ বোর্ডে বিপিএল প্রধান ছিলেন সাবেক পরিচালক মাহবুবুল আনাম। গতকাল অনুষ্ঠিত এবারের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি।

সভা শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক ইফতেখার রহমান জানিয়েছেন, বিসিবি সভাপতি নিজেই স্থায়ী কমিটিগুলোর প্রধান নির্বাচন করে বোর্ডকে তা জানিয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকেরাও তা সাদরে গ্রহণ করেছেন।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ছাড়াও ওয়ার্কিং কমিটি এবং গ্রাউন্ডস কমিটিও নিজের কাছেই রেখেছেন আমিনুল। ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আগে থেকেই এই কমিটির দায়িত্বে থাকা নাজমূল আবেদীনকে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গেম ডেভেলপমেন্টের প্রধান হয়েছেন ইশতিয়াক সাদেক।বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির প্রধান হয়েছেন আসিফ আকবর।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ হাই পারফরম্যান্স এবং আরেক সাবেক ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক পেয়েছেন মহিলা উইং প্রধানের দায়িত্ব।

বিপিএলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি ফারুক আহমেদ কোনো কমিটিরই প্রধান হননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইফতেখার রহমান বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবে বোর্ডে সভাপতিই সিদ্ধান্ত নেন কাকে কোথায় রাখবেন। এটা ওনার বিষয়—উনিই ভালো বলতে পারবেন।’ ফারুক অবশ্য পুরো সভায় ছিলেনও না। ব্যক্তিগত কাজ থাকায় সভা শেষ হওয়ার আগেই চলে যান তিনি।

ইফতেখার রহমান জানান, বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানরাই ঠিক করবেন কমিটির বাকি সদস্য কারা হবেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, বিসিবির কাউন্সিলদের যাঁরাই কাজ করতে আগ্রহী, তাঁদের বিভিন্ন কমিটিতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।

পরিচালকেরা কে কোন কমিটির দায়িত্বে

ওয়ার্কিং কমিটি—     আমিনুল ইসলাম
ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি—  নাজমূল আবেদীন
অর্থ কমিটি—   এম নাজমুল ইসলাম
ডিসিপ্লিনারি কমিটি—     ফায়াজুর রহমান
গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি—     ইসতিয়াক সাদেক
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট—     আসিফ আকবর
গ্রাউন্ডস কমিটি—     আমিনুল ইসলাম
ফ্যাসিলিটিজ কমিটি—     শানিয়ান তানিম
আম্পায়ার্স কমিটি—     ইফতেখার রহমান
মার্কেটিং কমিটি—     শাখাওয়াত হোসেন
অডিট কমিটি—     মুখলেসুর রহমান
মহিলা উইং—     আবদুর রাজ্জাক
লজিস্টিকস কমিটি—     ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক
মেডিকেল কমিটি—     মনজুর আলম
টেন্ডার অ্যান্ড পারচেজ কমিটি—   আবুল বাশার
মিডিয়া কমিটি—   আমজাদ হোসেন
সিসিডিএম—    আদনান রহমান
ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট কমিটি—   জুলফিকার আলী খান
বাংলাদেশ টাইগার্স—     রাহাত শামস
ওয়ালফেয়ার কমিটি—     মুখছেদুল কামাল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত খ র রহম ন ন কম ট র ক উন স ল ল ইসল ম স কম ট ট কম ট আম ন ল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সাতটি দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত করেছে ইসি

সব প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ‘পোস্টাল ব্যালটের’ মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন অ্যাপ উন্মুক্ত করার আড়াই ঘণ্টার মাথায় ঠিকানা–সংক্রান্ত জটিলতায় সাতটি দেশের নিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় এসব দেশে নিবন্ধন শুরু করার কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর সবার জন্য নিবন্ধন অ্যাপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বর্তমানে সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার ভোটাররা তাঁদের ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে নিবন্ধন করতে পারছেন না।

বিষয়টি তুলে ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সালিম আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘কালকে রাতে যখন আমরা শুরু করেছি, শুরু করার পর রেসপন্স খুব হাই ছিল।...আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমরা দেখলাম যে আমাদের স্পেশালি সাতটা দেশে সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত আর এদিকে মালয়েশিয়া...ইউনাইটেড আরব এমিরেটসসহ এই কয়টা দেশের প্রবাসী ভোটাররা ওনাদের কিছু অ্যাড্রেসে ভুল হচ্ছে। অ্যাড্রেসগুলো ওনারা ঠিকমতো দিতে পারছেন না।’

প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ঠিকানা ভুল হলে তাঁদের ব্যালট পৌঁছাবে না উল্লেখ করে সালিম আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা যখন নোটিশ করলাম, তখন আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে এখন এই সাতটা দেশে বন্ধ রাখাটাই ভালো হবে সাময়িকভাবে।’

সালিম আহমেদ খান বলেন, এ নিয়ে কাজ হচ্ছে। সকাল থেকে ওই দেশগুলোর দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাল সকালের মধ্যে অ্যাপটা উন্মুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যেকোনো জটিলতার সমাধানে বোটিম, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিকল্প মাধ্যমে কাজের কথাও জানান তিনি।

এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘প্রবাসী ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে এক্সপেক্টেশন যেটা হাই ছিল, এখনো আমাদের হাই আছে।’ নিবন্ধন–সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতা শিগগিরই কেটে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্তই থাকছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ