ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার মামলায় সংস্কৃতিকর্মী শামীমের এক দিনের রিমান্ড
Published: 9th, October 2025 GMT
ময়মনসিংহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সংস্কৃতিকর্মী শামীম আশরাফের (৩৮) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হক এ আদেশ দেন।
ময়মনসিংহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক পি এস এম মোস্তাছিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ম অবমাননা ও সাইবার সুরক্ষা আইনের মামলায় শামীম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত গতকাল রিমান্ড শুনানি না করে আজ শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শামীম আশরাফের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে নগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন খেলাফত মজলিসের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো.
মামলার বাদী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বেহেশত নিয়ে শামীম আশরাফের অবমাননাকর মন্তব্যে মুসলিম সমাজ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁর শাস্তির দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
আরও পড়ুনফেসবুক পোস্টের মন্তব্যে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ, ময়মনসিংহে সংস্কৃতিকর্মী পুলিশ হেফাজতে০৬ অক্টোবর ২০২৫শামীম আশরাফ ফেসবুকে নিজের পোস্টে একজনের মন্তব্যের জবাবে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে সেটি ছড়িয়ে পড়লে তাঁকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অনেকে ফেসবুকে সরব হন। এরপর ওই দিন রাত নয়টার পর শামীম আশরাফ ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘আমার যে কমেন্টটি মানুষকে ব্যথা দিয়েছে, সে জন্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’ পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের আমলাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
শামীম আশরাফ ‘গ্রাফিটি’ নামে একটি মুদ্রণশিল্পের ব্যবসা পরিচালনা করেন।
পাশাপাশি ‘পরম্পরা’ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ডিবি পুলিশ রাতে তাঁকে আটকের পর তাঁর পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালায়। পরে রাতেই তাঁকে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ম ম আশর ফ ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে রাতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
ময়মনসিংহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার রাত তিনটার দিকে ডাকসু সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার ময়মনসিংহ নগরের ঢোলাদিয়া এলাকার বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনডাকসু সদস্য রাফিয়ার ময়মনসিংহের বাড়িতে গভীর রাতে ককটেল নিক্ষেপ২০ নভেম্বর ২০২৫গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নগরের কেওয়াটখালী এলাকার মো. মাসুদ রানা (৪৫), আকুয়া বোর্ডঘর এলাকার মো. আরিফ (৩০), মো. বিপুল (২১), আকুয়া ওয়্যারলেস গেট এলাকার মো. রাজন (১৯)। চারজনই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কোতোয়ালি মডেল থানার সমন্বয়ে পরিচালিত যৌথ অভিযানে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ককটেল ছোড়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে রাফিয়ার ভাই খন্দকার জুলকারনাইন কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বুধবার রাত ২টা ৫০ থেকে তিনটার মধ্যে বিকট শব্দে তাঁদের বাসার সবার ঘুম ভেঙে যায়। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার নিচে এসে দেখা যায়, বাসার গেটের একাংশ পুড়ে কালো হয়ে আছে এবং গেটের সামনে কিছু পোড়া ছাই পাওয়া যায়। বাসার গেটের আশপাশে কেরোসিন ও পেট্রলের গন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাসভবনের গেটে দুষ্কৃতকারীদের অগ্নিসংযোগের ঘটনাটির পরপর পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান আছে।