অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের উপায় খুঁজছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আপনিও (নাহিদ) উপদেষ্টা ছিলেন। কোন কোন উপদেষ্টা দুর্নীতি করছেন, আপনি ভালো জানেন। সেই উপদেষ্টাদের তালিকা দিন।” 

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগীলি ইউনিয়নে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

৩০ বছর ধরে গরুর পরিবর্তে ঘানি টানা মোস্তাকিম-ছকিনা দম্পতিকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুটি ভ্যান ও নগদ টাকা প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছিল। তার বেলায় সেফ এক্সিটের কথা বার বার বলা হয়েছিল। এখন কেন সেফ এক্সিটের প্রসঙ্গ আসছে? ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল আন্দোলনকারী এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। নাহিদ ইসলামও এই সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তাহলে তিনি উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের কথা বলছেন কেন? 

সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।

সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘গরু ছাড়াই ৩০ বছর ধরে ঘানি টানছেন স্বামী-স্ত্রী’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সেই সংবাদ দেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মোস্তাকিম-ছকিনার পরিবারের জন্য দুটি ভ্যান ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন। একই অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ দুজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। 

ঢাকা/সিথুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ এক স ট র অন ষ ঠ ন ব এনপ র উপদ ষ ট পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ‘ঢাকা ঘেরাও’

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণমিছিল ও জনসভা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। 

আরো পড়ুন:

ডিএমপির অভিযান, মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৪ 

আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হাতীবান্ধা হেলিপ্যাড মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সহুর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মিলিত হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, তিস্তা নদী তীরবর্তী প্রায় ২ কোটি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি তহবিল ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটিকে আটকে রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষক।”

তিনি আরো বলেন, “তিস্তা বাঁচানো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুক। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।

এদিকে, দাবি আদায়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি রংপুর বিভাগের উপজেলাগুলোতে গণমিছিলের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আগামী ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

ঢাকা/নিয়াজ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ