দাকোপে দুই দিনেও মেরামত হয়নি বাঁধ, দুর্ভোগ চরমে
Published: 9th, October 2025 GMT
খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া এলাকায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দুইদিন পার হলেও এখনো মেরামত হয়নি। ফলে প্লাবিত এলাকায় তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসন শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো.
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকী নদীর পানির তোড়ে প্রায় ২০০ ফুট এলাকা জুড়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী, আড়াখালী, দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলা বুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাকড়া বুনিয়া এলাকা প্লাবিত হয়।
অব্যাহত জোয়ার-ভাটায় এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, কেউবা নিজ ঘরে পানিবন্দি হয়ে আছেন। প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমির আমন ধান, শত শত মাছের ঘের ও পুকুর এবং সবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ আটকানোর অন্তত তিন দফা চেষ্টা চালালেও তীব্র স্রোত ও মাটির স্বল্পতার কারণে ব্যর্থ হয়।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, “খুব দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।”
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, “স্রোতের তীব্রতা ও মাটির ঘাটতির কারণে বাঁধ আটকাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে চলছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘আইটিডি ২০২৫’
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) ২০২৫’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ঢাকার পূর্বাচলের আমেরিকান সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আইটিডি সম্মেলন আমাদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও টেকসই উন্নয়নের যাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি, আর এই সম্মেলন সেই সহযোগিতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।’ নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসনের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। এই সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা ও আলোচনাগুলো ভবিষ্যতের নীতি, শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
সম্মেলনে অংশ নেওয়া গবেষক, পেশাজীবী, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা