ভারতের দক্ষিণী সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণান। তার প্রেম-বিয়ে নিয়ে নানা সময় নানারকম গুঞ্জন চাউর হয়েছে। ২০১৫ সালের শুরুতে প্রযোজক বরুণ মানিয়ানের সঙ্গে বাগদান সারেন তৃষা। কিন্তু বিয়ের আগে বাগদান ভেঙে দেন এই অভিনেত্রী। তারপর থেকে ব্যক্তিগত জীবনে একা ৪২ বছর বয়সি তৃষা। এবার জানা গেল, বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
সিয়াসাত ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তৃষার বিয়ের জন্য নতুন একটি প্রস্তাব এসেছে; যাতে সম্মতি দিয়েছে তার পরিবার। পাত্র চণ্ডীগড়ের ব্যবসায়ী। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে ভারতে নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। তাদের দুই পরিবার বহু বছর ধরে একে অপরকে চেনে। তবে এ বিষয়ে তৃষা বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
আরো পড়ুন:
স্ত্রীর গুরুতর অভিযোগ: পবন বললেন, পুরুষের কষ্ট কেউ দেখে না
কানতারা টু: ৭ দিনে আয় ৬০৯ কোটি টাকা
এর আগে বিয়ের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন তৃষা। এ অভিনেত্রী বলেন—“আমি কেন বিয়ে করছি না এ প্রশ্ন মানুষ আমাকে প্রায়ই করেন। তারা মনে করেন, আমার এখন বিয়ে করা উচিত। এসব মানুষ বিয়ের কথা যেভাবে বলেন তা আমার পছন্দ নয়। আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞাসা করেন আমি কখন বিয়ে করব, তাহলে আপনি উত্তর পাবেন।”
তবে কবে বিয়ে করছেন তা এখনো জানেন না তৃষা। তার ভাষায়—“আমি সত্যি জানি না কখন বিয়ে করব। এর পুরোটাই নির্ভর করে আমি কার সঙ্গে আছি, কার সঙ্গে দেখা করছি। আমি সেই মানুষটিকে অনুভব করতে চাই, যার সঙ্গে সারাজীবন কাটাব।”
তৃষা কৃষ্ণানের সঙ্গে বেশ কজন জনপ্র্রিয় অভিনেতার নাম জড়িয়েছে। ‘বাহুবলি’খ্যাত অভিনেতা রানা দাগ্গুবতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তৃষা। এরপর মিহীকা বাজাজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রানা। ২০২০ সালের ৮ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন গুঞ্জন চাউর হয়, অভিনেতা সিম্বুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তৃষা। শুধু তাই নয়, তাদের বিয়ের আসরের কিছু ছবি অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। কিন্তু বিষয়টি মিথ্যা-বানোয়াট বলে দাবি করেন তৃষা।
তাছাড়াও দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপাতি বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তৃষা। এটি ২০০৫ সালের ঘটনা। ‘গিলি’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিজয়ের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে এ সম্পর্ক আর আগায়নি।
১৯৯৯ সালে ‘মিস মাদ্রাজ’ খেতাব জয়ের পর ওই বছরই চলচ্চিত্রে নাম লেখান তৃষা কৃষ্ণান। তার অভিনীত অভিষেক চলচ্চিত্র ‘জুড়ি’। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়লাম ও হিন্দি ভাষার অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে তামিল ও তেলেগু ভাষার ২টি সিনেমার কাজ রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল রিয়াল
জুদ বেলিংহামের শেষ মুহূর্তে করা সমতাসূচক গোল রিয়াল মাদ্রিদকে বাঁচিয়ে দিল পরাজয়ের হাত থেকে। শনিবার দিবাগত রাতে এলচের মাঠে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ২-২ ড্র করে রিয়াল। এই ড্রয়ে বার্সেলোনা থেকে মাত্র ২ পয়েন্টে এগিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে লস ব্লাঙ্কোস।
প্রথমার্ধে ছিল গোল-মিসের উৎসব। অথচ তুমুল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের সেই অর্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতেই। শুরুতেই রাউল আসেনসিওর পাস থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করার মতো অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে আন্দ্রে সিলভাও খুঁজে পাননি পোস্ট। এরপর থিবো কোর্তোয়া দারুণ এক সেভে বাঁচান দলকে, রাফা মিরের শট ঠেকিয়ে দিয়ে।
আরো পড়ুন:
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
একদিকে মাদ্রিদের আক্রমণভাগ ব্যর্থ, অন্যদিকে সুযোগ পেয়েও এলচে বারবার ভুল করেছে। বিশেষ করে ২৭ মিনিটে আন্দ্রে সিলভার এক ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে শট না নিয়ে মিরকে খুঁজতে গিয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। এমবাপ্পে এরপর আরেকবার গোলরক্ষক পেনিয়ার কাছে থামেন। দুই দলের গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রথমার্ধ ০-০ তে শেষ হয়।
বিরতির পরও পেনিয়া আগের ছন্দ ধরে রাখেন। রদ্রিগোর শট চমৎকারভাবে ঠেকান তিনি। কোর্তোয়াও তাই। তবু গোল হজম এড়ানো গেল না। ৫৩ মিনিটে জার্মান ভালেরার পেছন দিকের ব্যাকহিল পাস থেকে ফেবাস ক্লোজ রেঞ্জ থেকে বল জালে পাঠান। এগিয়ে যায় এলচে।
এরপর জাবি আলোনসো একের পর এক পরিবর্তন আনেন। বেঞ্চ থেকে নামানো ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৭২ মিনিটে গোলের সামনে বল পেয়েও শট না নিয়ে এমবাপ্পেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আলভারো নুনিয়েজ তা কাটিয়ে দেন। অবশেষে আক্রমণের চাপ ধরে রেখে ৭৮ মিনিটে হুইসেন গোল করে সমতা ফেরান। এলচের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের কর্নার ক্লিয়ার করতে না পারার ব্যর্থতার সুযোগটা নেন তিনি।
সমতায় ফিরেও থামেনি এলচে। মির ও মার্টিন নেটো দুইজনই লিড পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৮৪ মিনিটে রদ্রিগেজ বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দারুণ শটে এলচেকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ২০১৩ সালে লা লিগায় ফেরার পর এই প্রথম রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়ের গন্ধ পাচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু নাটক বাকি ছিলই।
৮৭ মিনিটে ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে না পারলে বল এসে পড়ে বেলিংহামের সামনে। তিনি টোকা দিয়ে গোললাইন পার করিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পেনিয়ার ফাউলের দাবি রেফারি আমলে নেননি।
যোগ করা সময়ের শুরুতেই হতাশা বাড়ে এলচের। এমবাপ্পেকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ দেখে মাঠ ছাড়েন ভিক্টর চুস্ত। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে রিয়ালের কোচ আলোনসো বলেন, ‘‘ফুটবল এমনই। ভালো একটা সময় কাটানোর পর হঠাৎ খারাপ ফল আসতেই পারে। সমালোচনা হবে, আমাদের তা মেনে নিয়েই এগোতে হবে। দল এখনো লড়াই করে যাচ্ছে, আমরা উন্নতির জায়গাগুলো দেখব। সামনে অনেক ম্যাচ আছে। আমাদের সেখানেই ফোকাস করতে হবে। আমরা ফলাফলে খুশি নই, তবে ছন্দে ফিরতেই হবে।’’
ঢাকা/আমিনুল