পাবনায় স্পিডবোটে এসে নদীসংলগ্ন বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বেড়া উপজেলার যমুনাপাড়ের নাকালিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাজারের ৪টি দোকান থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। এর আগেও ঠিক একই কায়দায় এই বাজারে দু–তিনবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর পাড়ে নাকালিয়া বাজারের অবস্থান। গতকাল সোমবার রাত তিনটার দিকে ওই বাজারে একটি বড় স্পিডবোটে ১৫ থেকে ২০ জনের ডাকাত দল আসে। ডাকাতেরা স্পিডবোট থেকে পাড়ে নেমে সেখানে থাকা লোকজনদের কাছে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এরপর সেখানে থাকা দুজন বাজার পাহারাদার ও দুজন ব্যবসায়ীর হাত-পা বেঁধে মুঠোফোনসহ সবকিছু কেড়ে নেয়। ঘাট নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ডাকাত দল কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে বাজারের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা তালা ভেঙে স্বপন কুণ্ডু ও অলোক শীলের সোনার দোকানে এবং মো.

আবদুল্লাহর কাপড়ের ও বাসুদেব কুণ্ডুর মুদিদোকান থেকে বিভিন্ন মালামাল লুট করতে শুরু করে। দোকানমালিকেরা জানান, ৪টি দোকান থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল, সোনার গয়না ও অর্থ নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।

সোনার দোকানের মালিক স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘আমার দোকানে ২০০ ভরি রুপা, ২ ভরি সোনা ও প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছিল। ডাকাতেরা এর সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমার দোকানের প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল তারা নিয়ে গেছে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’

মুদিদোকানি কার্তিক কুণ্ডু বলেন, ‘২০১৭ সালেও আমাদের দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। ওই সময় যেভাবে স্পিডবোটে এসে ডাকাতি হয়েছিল, এবারও ঠিক একই কায়দায় হলো। আমাদের দোকানের তালা ভেঙে ডাকাতেরা অন্তত দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে ২০১৪ সালের ২ মার্চ ও ২০১৭ সালের ৫ মার্চ স্পিডবোটে এসে ডাকাত দল এই বাজারের বিভিন্ন দোকানে ডাকাতি করে। ওই দুই সময়ে ১৫ থেকে ২০টি করে দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। সে সময় ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ডাকাতদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া গেলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়তো আর হতো না। এ ছাড়া আগের ডাকাতির ঘটনার পর থেকেই বাজারের ব্যবসায়ীরা সেখানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি।

নাকালিয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাজারটি নদীর ধারে। ডাকাতেরা সহজেই স্পিডবোটে এসে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। আগের ডাকাতির পরও কোনো ব্যবস্থা হয়নি, তাই আবারও একই ঘটনা ঘটল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিটি আমলে নিচ্ছে না।’

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘আগের ডাকাতির ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই। তবে এবারের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই বাজারে যাতে নিয়মিত পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা যায়, সে বিষয়টি অবশ্যই দেখব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন ব যবস য় র ড ক ত দল আম দ র ল ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁধনের ১৭ কেজি ওজন কমানোর পেছনের গল্প

অভিনয়শিল্পী ও মডেল আজমেরী হক বাঁধন হঠাৎ খেয়াল করেন, তাঁর ওজন বেড়ে ৭৮ কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। ওজন বাড়ার কারণে চিন্তা বাড়ে। এরপর সিদ্ধান্ত নেন, ওজন আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। শুরু হয় মিশন। সেই মিশনে মোটামুটি সফল হয়েছেন বাঁধন। তবে সময় লেগেছে ছয় মাস। এই ছয় মাসের পরিশ্রমে বাঁধনের ওজন এখন ৬১ কেজি। এতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এই অভিনয়শিল্পী।

মাশরুর সিদ্দিকী ও আজমেরী হক বাঁধনের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁদের মধ্যকার বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর বাঁধন তাঁর মেয়েকে নিয়ে মিরপুরে তাঁর বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।

আজমেরী হক বাঁধন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের নয়ডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণ করুক
  • বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল রিয়াল
  • রূপকথার গল্প লেখা হলো না রিপন–গাফফারদের, সুপার ওভারে জিতে চ্যাম্পিয়ন শাহিনস
  • রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি
  • তিশার বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রযোজকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
  • শাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ২০ জানুয়ারি, পুনঃ তফসিল কাল
  • কু‌ষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসের সাইনবোর্ডে আগুন
  • বাঁধনের ১৭ কেজি ওজন কমানোর পেছনের গল্প