নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে বসুরহাটে ব্লকেড, বিক্ষোভ সমাবেশ
Published: 19th, October 2025 GMT
নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে আজ রোববার জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটের সড়ক ব্লকেড ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আজ রোববার দুপুরে বসুরহাটের জিরো পয়েন্টে ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় সড়ক ব্লকেড কর্মসূচির কারণে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নোয়াখালীকে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার দাবি আমাদের প্রাণের দাবি। এই দাবির সঙ্গে এ অঞ্চলের এক কোটির বেশি মানুষের আবেগ, অনুভূতি জড়িয়ে আছে। এই দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো ধরনের ছলচাতুরি সহ্য করা হবে না। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মসূচি পালন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিসংবলিত ব্যানার, পোস্টার নিয়ে বসুরহাটের জিরো পয়েন্টে সমবেত হতে থাকেন। বেলা ১১টার সময় তাঁরা জিরো পয়েন্টে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সড়ক ব্লকেড ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সাংবাদিক এহছানুল হক। বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব নুর নবী আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, জামায়াতের বসুরহাট পৌরসভা আমির মোশাররফ হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ শিক্ষক সমিতির নেতা হারুনুর রশীদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল করিম, সদস্যসচিব জাহিদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ফর ইউর ইব্রাহিম সায়েম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘একটি মহল নোয়াখালীকে প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র নোয়াখালীর মানুষ কখনো সফল হতে দেবে না। বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলাকে নিয়ে আলাদা বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ছাড়াও সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ফর ইউ, জীবন আলো, অফুরন্ত ব্লাড ব্যাংক, একাডেমি বাজার সমাজকল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, কোম্পানীগঞ্জ কনটেন্ট ক্রিয়েটর, একতা বাজার যুব উন্নয়ন সংস্থা, আল-আনফাল ফাউন্ডেশন, শাহজাদপুর ফ্রেন্ডস ক্লাব, আল-আকসা স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন, কোম্পানীগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ, চরহাজারী ঈদগাহ যুব ও সমাজকল্যাণ পরিষদ, একাডেমি বাজার ইয়ুথ সোসাইটি, কোম্পানীগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেকচার, মুক্তিযোদ্ধা বাজার তারুণ্যের আলো মানবিক সংগঠন, প্রিমিয়াম শিক্ষা পরিবার, নব জাগরণ যুব সংঘ, গ্রিন শ্যাডো সোসাইটি, কোম্পানীগঞ্জ সচেতন নাগরিক ফোরাম, বসুরহাট ফুটবল ক্লাব, পূর্বাশার আলো, মুসলিম নগর যুবসমাজ, মোল্লা বাজার সামাজিক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, তেরোবাড়ী যুবকল্যাণ ফাউন্ডেশনসহ প্রায় ৩০টি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সমাবেশের পর বিক্ষোভকারীরা কোম্পানীগঞ্জের সমাজসেবা কর্মকর্তা মাইন উদ্দিনের হাতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি তুলে দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব লক ড উপজ ল স গঠন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখিয়েছেন: রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের জন্য ও সার্বভৌমত্বের জন্য আপসহীন। তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি আধিপত্যবাদী ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলা শিখিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজারে নির্বাচনী পথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, ‘‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদীরা নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির রাজনৈতিক দলগুলো এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।’’
তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যাশা করি, তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন। দেশের মানুষ তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর জানতে উদগ্রীব। বিএনপি ও তারেক রহমান এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
রাশেদ খান বলেন, ‘‘ঐকমত্য কমিশন গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে বিভেদ বৃদ্ধি করেছে। তারা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য জনমত তৈরির চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা ভোট দিতে চাই। জনগণ নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কার দেখতে চায়। নির্বাচনই আগামীর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সংস্কার।’’
এর আগে বিকালে সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজারে পথসভায় বক্তব্য দেন রাশেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন দলটির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/শাহরিয়ার//