সাভারে ছাত্রী ধর্ষণ: জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে এনসিপির মানববন্ধন
Published: 19th, October 2025 GMT
ঢাকার সাভারে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানার সামনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো.
আরো পড়ুন:
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন
নোবিপ্রবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা; সাভারের কমলাপুর-বিরুলিয়া ও আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ অন্ধকার এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত লাইটিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিয়মিত পুলিশের টহল নিশ্চিত করা; সাভার এলাকায় খুন, গুম ও ধর্ষণ প্রতিরোধে বিশেষ সেল বা টাস্কফোর্স গঠন করা।
এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ঢাকা জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী মেহরাব সিফাত বলেন, “মানুষ আজ রাস্তাঘাটে নিরাপত্তাহীন। গুম, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা বাড়ছে। এটি সেই ফ্যাসিবাদের সময়কালের আলামত, যার মূল এখনো সাভারের মাটিতে রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদের দোসরেরা ধর্ষক, খুনি, মাদককারবারির পরিচয়ে সাভারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। কিন্তু এনসিপি তা কখনোই হতে দেবে না।”
মানববন্ধনে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আসাদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মুফতি শহীদুল্লাহ শোয়াইব, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য তামিম আজহার ও আমানুল্লাহ শিব্বির প্রমুখ।
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে বাসায় ফেরার পথে সাভারে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে তিনি তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিঠু বিশ্বাস (৩৫) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানার পুলিশ। মামলার অন্য দুই আসামি- সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০) এখনো পলাতক।
মামলায় সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মিঠু ও বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা/আরিফুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প এনস প র কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি
দেশের অন্যতম প্রধান তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই মানবন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন
পাঁচ দাবিতে জেলায় জেলায় জামায়াতের মানববন্ধন
মানববন্ধনে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের সহ-সভাপতি (ভিপি) জিএমএম রায়হান কবীরের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা উত্তরবঙ্গের কৃষি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং কোটি মানুষের জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে চীনের সহায়তায় আগামী নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরুর তাগিদ দেন এবং ভারতের কাছ থেকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানান।
জাকসুর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ফেরদৌস আল হাসান বলেন, “তিস্তা শুধু উত্তরবঙ্গের বিষয় নয়, এটি দেশের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ। ভারত বর্ষায় কোনো সতর্কতা ছাড়াই পানি ছেড়ে লাখ লাখ ঘর-বাড়ি ডুবিয়ে দেয়, লাখ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করে দেয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানি বন্ধ করে সেচ ব্যবস্থা অকার্যকর করে ফেলে, ফলে কোনো ফসল আবাদ হয় না।”
তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে টিকে থাকতে তিস্তার ন্যায্য হিস্সা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেনি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে নভেম্বরের মধ্যে চীনা অর্থায়নে এটি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই।”
জাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “তিস্তা ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন নদী হওয়া সত্ত্বেও এটি পশ্চিমবঙ্গের জন্য আশীর্বাদ এবং বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষায় আমাদের ডুবিয়ে মারে, শুষ্ক মৌসুমে পানি বন্ধ করে ফসল চাষাবাদে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায়। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের কাছে আমরা আশা করেছিলাম, তারা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু এই সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। সরকারকে জোরালোভাবে বলতে চাই, ভারতীয় যেকোনো চাপকে উপেক্ষা করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন; আমরা দেশবাসী আপনাদের সঙ্গে থাকব।”
জাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের মিত্র রাষ্ট্র (ভারত) মৈত্রীর পরিচয় দেননি। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে গুম করার মাধ্যমে ভারতের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বুঝা গেছে। আমাদের মেরুদণ্ড সোজা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। তিস্তায় ভারতের বাঁধের কারণে উত্তরবঙ্গের আট জেলা সরাসরি আক্রান্ত। প্রতিবেশী মৈত্রী দেশ হিসেবে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে।”
নভেম্বরের মধ্যে চীনা সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জমির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সদস্য শফিউজ্জামান শাহীন, ও বাগছাসের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আয়ান প্রমুখ।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী