কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় নৌকা ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুর রশিদ (৬০) এবং একই গ্রামের মৃত শরাফত হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৭)। আহতরা হলেন— ইসলামপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০) ও মৃত পলানের ছেলে মো.
শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে আব্দুর রশিদ ও মামুনের জমিতে আখ লাগানোর জন্য রওনা হই। জমি নদীর অপর প্রান্তে হওয়ায় নৌকায় করে চারজন নদী পার হচ্ছিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ ডোঙ্গা সামান্য কাত হয়ে পানি উঠতে থাকে। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডুবে যায়। সবাই সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করতে থাকি। হঠাৎ আমি পায়ের নিচে মাটির স্পর্শ অনুভব করি এবং কোনোরকমে কিনারায় উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান হোসেন বলেছেন, আমরাও নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওদের পরেই আমরা যাব। কিন্তু, ওরা কিছুদূর যেতেই ছোট নৌকাটা হঠাৎ দুলতে দুলতে কাত হয়ে ডুবে যায়। আমিসহ কয়েকজন দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে মামুন ও রশিদ চাচাকে উদ্ধার করি। মামুন ও রশিদ চাচাসহ দুজনের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম রনি বলেছেন, দুর্ঘটনার খবর শোনার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হই। খুব মর্মান্তিক ঘটনা। একইসঙ্গে একই গ্রামের দুজনের মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রব তালুকদার বলেন, পদ্মা নদী থেকে আব্দুর রশিদ ও মামুন হোসেনকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ জন র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রাম বদলে দিয়েছে সিনেমা, স্বীকৃতি পেলেন পরিচালক ডায়মন্ড
শিল্প কখনো কখনো কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়—এটি সমাজ ও অঞ্চলের রূপান্তরেও ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ঘটেছে তেমনই একটি ঘটনা। একটি সিনেমা বদলে দিয়েছে একটি গ্রামের পরিচিতি, আর সেই পরিবর্তনের স্বীকৃতি পেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড।
১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি নাচোলে সংঘটিত ইলা মিত্রের নেতৃত্বে কৃষক–সাঁওতাল বিদ্রোহের কাহিনি অবলম্বনে ডায়মন্ড নির্মাণ করেন ‘নাচোলের রানী’ সিনেমা। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি নাচোলকে নতুন করে পরিচিত করে বিশ্বজুড়ে। সিনেমার শুটিং স্পটকে কেন্দ্র করে ইলা মিত্রের নামে গড়ে ওঠে সংগ্রহশালা, যা এখন গ্রামীণ পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ।
আরো পড়ুন:
‘সোলজার’-এ শাকিবের বিপরীতে তানজিন তিশার ফার্স্টলুক প্রকাশ
ফের বিজ্ঞাপনচিত্রে শাকিব খান
গ্রামবাসী পরিচালক ডায়মন্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাননি। তারই অংশ হিসেবে ১৬ নভেম্বর সংগ্রহশালার পাশে স্থাপন করা হয়েছে একটি স্বীকৃতি ফলক, যা উন্মোচন করেছেন কৃষক সমাজের প্রতিনিধি জিল্লুল রহমান এবং সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি বিধান সিং। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে গ্রামবাসী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
স্বীকৃতির মুহূর্তে আবেগপ্রবণ ডায়মন্ড বলেন, “জীবদ্দশায় এমন স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই দুর্লভ এবং আবেগঘন।”
এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টে দিয়েছেন ডায়মন্ড। তাতে তিনি লিখেছেন, “নাচোলের রানী মুক্তির পর নাচোল বিশ্বব্যাপী নতুন পরিচিতি পায়। দুই দশক পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই ফলক স্থাপন সত্যিই গর্বের।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত