ছাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ
Published: 9th, November 2025 GMT
ছাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ববি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ সংবাদ প্রচারের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় পূর্ণ বিশ্বাস রাখে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি বা হয়রানির অভিযোগ থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, নিজস্ব বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক পরিধানের অধিকার সবার রয়েছে। এই নীতি নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব ও নিকাব ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।
যদি কখনো কোনো নারী শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করার প্রয়োজন হয়, তবে সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা বজায় রেখে প্রয়োজনে নারী শিক্ষকের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ আশা করে, সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম বলেন, “প্রত্যেকেরই পোশাকের স্বাধীনতা রয়েছে। প্রত্যেকেই তাদের মর্যাদা, ধর্ম, সামাজিকতা এবং পেশাদারিত্ব অনুযায়ী পোশাক পরবেন, এতে কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। তবে এই পোশাকের মাধ্যমে কারোর মূল্যবোধে যেন আঘাত না করে, সেই বিষয়টি খেয়াল রেখে সবাই স্বাধীনভাবে পোশাক পরবেন।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুরোনো ব্যর্থতা শুধরে নিতে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন
জাতিসংঘের জলবায়ু–সংক্রান্ত ৩০তম সম্মেলন বা কপ৩০ শুরু হচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের বেলেম শহরে। আগামীকাল সোমবার ১১ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের যাত্রা শুরু হবে। এবারের সম্মেলনে পুরোনো প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আয়োজক দেশ ব্রাজিল। একই সঙ্গে পুরোনো ব্যর্থতা শুধরে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
কপের পূর্ণ রূপ হলো কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস। এর সদস্যদেশগুলো ১৯৯২ সালে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সই করেছিল। চুক্তিটি হলো দ্য ইউনাইডেট নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)। বিশ্ব জলবায়ুব্যবস্থাকে মানুষের বিপজ্জনক তৎপরতা থেকে রক্ষা করাই এর লক্ষ্য। কপের প্রথম সম্মেলন হয় জার্মানির বার্লিনে, ১৯৯৫ সালে।
এবারের ৩০তম কপ চলছে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করা দেশ হিসেবে ব্রাজিলেরও আলাদা একটি গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এখন থেকে ঠিক ৩৩ বছর আগে দেশটির রিও ডি জেনিরো শহরে একটি সম্মেলে ইউএনএফসিসিসি চুক্তি সই হয়েছিল। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যে অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে, সে জন্য সম্মেলনে কিছু বিষয়সূচিও নির্ধারণ করেছে ব্রাজিল।
এর আগে কপ২৮–এ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চুক্তিতে সই করা দেশগুলো। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর এবার জোর দিচ্ছে ব্রাজিল। এ ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি এবারের প্রথমবারের মতো স্বীকার করা হবে এবং সমাধানে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ব্রাজিলের বেলেম শহরে আমাজন জঙ্গলের অংশ রয়েছে। এবারের সম্মেলনের জন্য এই শহর বেছে নেওয়ার পেছনেও কারণ রয়েছে। তা হলো বিশ্বে বনভূমির গুরুত্ব তুলে ধরা। নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বিশ্বজুড়ে এখনো বনভূমি উজাড় হচ্ছে। একই সঙ্গে খনিজ সম্পদ উত্তোলন, কৃষিকাজ ও জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলনের মতো শিল্পায়ন–সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতের হুমকির মুখে পড়ছে বনাঞ্চল।
কপ৩০ সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহে ইউএনএফসিসিসি চুক্তিতে সই করা দেশগুলো তাদের অগ্রাধিকার তুলে ধরবে এবং অন্যদের অবস্থান খতিয়ে দেখবে। দ্বিতীয় সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেবেন। সম্মেলনে চূড়ান্তি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন বিষয়ে দর–কষাকষি করবেন তাঁরা।