প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদের বিধান কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
Published: 10th, November 2025 GMT
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া–সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল দেন।
গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়ার ফলে সংবিধানের রক্ষিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের পথে অন্তরায়—মূলত এসব দিক সামনে রেখে রিটটি করা হয়। শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিনের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি পেছাল
হত্যাসহ পৃথক তিন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক নট টুডে (আজ নয়) রাখেন।
গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও মারাত্মক জখম করার অভিযোগসহ পৃথক পাঁচ মামলায় গতকাল রোববার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান কারাগারে থাকা সেলিনা হায়াৎ আইভী। পাঁচ মামলার মধ্যে হত্যার অভিযোগে তিনটি ও মারাত্মক জখমের অভিযোগ করা দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিন মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আইভীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা (আইভীর আইনজীবী) সময় নিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানি হবে।
আইভীর অন্যতম আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট আইভীকে জামিন দিয়েছেন। এর মধ্যে চার মামলায় জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদন হাতে পেয়েছেন। তিন মামলায় জামিনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। আদালত নট টুডে (আজ সোমবার নয়) রেখেছেন।
গত ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের নিজ বাসা থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় হওয়া তিনটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন আইভী। পরে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে টানা জয়ী হন তিনি।