কলাপাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ লাখ টাকার মাল চুরির অভিযোগে মামলা
Published: 13th, January 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচ লাখ টাকার ভগ্নাবশেষ (স্ক্র্যাপ) মাল চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উপব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় ধানখালী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সোহেল মোল্লা, ছাত্রদলের সদস্য শাহীন মোল্লাসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামির বাড়ি ধানখালী ইউনিয়নের গিলাতলা, লোন্দা ও ধানখালী গ্রামে। চুরি হওয়া মালের মধ্যে আছে তামার তার, লোহার সামগ্রী, স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণসামগ্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৯ জানুয়ারি রাতে আসামিরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ তামার তার, লোহার সামগ্রী, স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে গিলাতলা বাজারের কাছে নিয়ে মজুত করেন। ১০ জানুয়ারি সকালে এসব মালামাল একটি গাড়িতে পাচারের জন্য তোলা হচ্ছিল। এ সময় বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের নিরাপত্তাকর্মীরা কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সহায়তায় গাড়িসহ অন্তত আড়াই লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ টন মালামাল উদ্ধার করেন। চক্রটির চুরি করা আরও এক ট্রাক মাল জব্দ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের শত শত টন মালামাল চুরি করে বিক্রি করে আসছিল।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেরানীগঞ্জে বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াতের নারী কর্মীদের মারধরের অভিযোগ
ঢাকা-২ (ঢাকার কেরানীগঞ্জের একাংশ) আসনে নির্বাচনী প্রচারের সময় জামায়াতে ইসলামীর নারী কর্মীদের মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগে আজ বুধবার রাত আটটার দিকে ঢাকা-২ আসনে জামায়াতের সহকারী আসন পরিচালক মহিউদ্দিন সেলিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়নের নীলটেক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মহিউদ্দিন সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারপত্র বিলি করছিলেন। তখন আরেক নারী কর্মী মুঠোফোনে দৃশ্য ধারণ করছিলেন। ঠিক সে সময় বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী ভিডিও ধারণকারীর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন অন্য নারী কর্মীরা বাধা দিলে তাঁদের ভ্যানিটি ব্যাগ ও ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের নারী কর্মীদের লাথি ও কিল-ঘুষি দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর ওসি সাহেব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ঢাকা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী তৌফিক হাসান বলেন, ইতিপূর্বে বিএনপির কর্মীরা তাঁর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করেছেন। তাঁরা তাঁর নির্বাচনী পোস্টার ক্রমাগত ছিঁড়ে ফেলছেন। এ ছাড়া তাঁরা জামায়াতের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শামীম হাসান বলেন, ‘জামায়াত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমার জানামতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমি এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি।’
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণাকালে জামায়াতের নারী কর্মীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’