“এটাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল দল”, বলেছেন দলটির কোচ রুবেন আমোরিম। রোববার (১৯ জানুয়ারি, ২০২৫) ইনহলিশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারার পর এমনটাই বলেছেন ম্যানচেস্টারের পর্তুগিজ কোচ।

আমোরিমের হতাশা স্বাভাবিক। ইংলিশ লিগে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সবশেষ তিনটা ম্যাচ হেরেছে ব্রাইটনের বিপক্ষে। এখানেই শেষ না, এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বশেষ ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে রেড ডেভিলরা।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের ৫ মিনিটে গোল করেন ব্রাইটনের ইয়ানকুবা মিনতে। পেনাল্টি কিকে ম্যাচের ২৩ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ব্রুনো ফার্নান্দেজ। বিরতির পর ৬০ মিনিটে কাউরো মিতোমার গোলে ফের লিড নেয় ব্রাইটন। ঠিক তার ১৬ মিনিট পর জর্জিনিও রুথার গোল করে ম্যানচেস্টারের কফাইন শেষ পেরাক ঠুকেন।

আরো পড়ুন:

এমবাপের জোড়া গোলে টেবিলের চূড়ায় রিয়াল

যোগ করা সময়ের নাটকে জয়ী লিভারপুল
ম্যাচ জেতানো নুনেজকে ‘শেষ ৩০ মিনিটের’ সেরা বললেন স্লট

ম্যানচেস্টারের লালরা  আগের ম্যানেজার এরিক টেন হাগকে বহিষ্কার করে নিয়োগ দেয় স্পোর্টিং সিপির সফলতম কোচ আমোরিমকে। তবে তাতেও ফেরেনি রেড ডেভিলদের ভাগ্য, হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে তারা। পর্তুগিজ কোচের অধীনে ১৫ ম্যাচের মাত্র ৫টিতে জিতেছে ম্যান ইউনাইটেড এবং হেরেছে ৭টি।

এই ব্যাপারটা আমোরিমকেও পীড়া দেয়,“আমরা (ম্যান ইউনাইটেড) এমন একজন নতুন কোচ পেয়েছি যার অধীনে দল আগের চেয়ে বেশি হারছে।ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি অবগত।”

তবে সমালোচনার মধ্যেও এই ৩৯ বছর বয়সী কোচ তার কৌশল পরিবর্তনে রাজি নন,“আমি কোন পরিস্থিতিতেই কৌশল পরিবর্তন করতে যাচ্ছি না। খেলোয়াড়রা এবং ভক্তরা হয়তো কষ্ট পাবেন। তাদের জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত, তবে আমার কাজ করার একমাত্র একটি পদ্ধতিই (কৌশল সম্পর্কে) আছে। আমি জানি আমরা সফল হতে পারব, তবে আমাদের এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে হবে।”

এরপরই বোমা ফাটালেন আমোরিম, ‘আমি জানি আপনারা (সংবাদমাধ্যম) শিরোনাম চান। আপনার শিরোনামগুলো তৈরি করুন; আমরা সম্ভবত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ দল।”

২২ ম্যাচ শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৩তম স্থানে আছে ম্যান ইউনাইটেড। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে টেবিলের নবম স্থানে ব্রাইটন, তাদের পয়েন্ট ৩৪। 
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব র ইটন

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।

বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’

কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’

বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ