নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীকে নিয়ে কঠোর অভিযান শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সভায় পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও বিক্রির বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী দিয়ে দেশজুড়ে কঠোর অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু এখনও একটি চক্র নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি ও বাজারজাত করছে। এবার আর কোনো অনুকম্পা থাকবে না। প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে, মামলা দেওয়া হবে, কারখানা সিলগালা করা হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, র‍্যাবের এডিজি (অপারেশনস) কর্নেল ইফতেখার আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম ও ফারুক আহমেদ, ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রধান এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।
এদিকে বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে মামলা এবং বিপুল পরিমাণ পলিথিন জব্দ করা হয়। একই দিন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পল থ ন ন ষ দ ধ পল থ ন পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবিগুলো উঠে আসে। বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংসদীয় আসনে নারী আসন বৃদ্ধি, যুব প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা সদরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে জেলা পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।

বিএনপির ৩১ দফায় নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মর্যাদার কথা বলা আছে উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বৈঠকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের দল নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নে নারীদের জন্য সুযোগ রাখবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও যুবসমাজের প্রতিনিধি আরও বাড়ানো হবে।’

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিগগিরই প্রশাসকরা দায়িত্ব নেবে ৫ ব্যাংকের
  • চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
  • চারটি দলের সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত হলো জাগপা
  • নারীদের আসন বাড়ানো, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষার দাবি