বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ময়নুল করিমের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের তদন্ত দল রংপুরে পৌঁছেছে। সোমবার দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। 

সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে আসেন তদন্ত দলের সদস্যরা। তারা গত ১৬ জুলাই যেখানে আবু সাঈদকে গুলিতে হত্যা করে পুলিশ, সে স্থান পরিদর্শন করেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দৃশ্যের ভিডিও দেখে বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার শামীম ও আরমান হোসেন ঘটনার সার্বিক বিবরণ তদন্ত দলের কাছে তুলে ধরেন। 

পরিদর্শন শেষে প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার এসএম ময়নুল করিম বলেন, ‘আবু সাঈদসহ বৃহত্তর রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আবু সাঈদের শহীদ হওয়ার ঘটনাটি সারাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী নাড়া দিয়েছিল। এজন্য এ হত্যাকাণ্ডকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। এরই অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী ও জবানবন্দি নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। তিনি বলেন, চিফ প্রসিকিউটরের নির্দেশে তারা ৯ জন তদন্তকারী ও ৩ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মিলে ১২ জন এসে তদন্ত করছেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আজারবাইজানে ৩০ সামরিক কর্মী নিহত: গভর্নর

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ জন সামরিক কর্মী ও একজন ইরানি রেড ক্রিসেন্টের সদস্য রয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন ওই প্রদেশের গভর্নর বাহরাম সারমাস্ত। তিনি জানান, হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জন আহত হয়েছে। খবর-বিবিসি

আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া এই হামলায় ১৯টি ভিন্ন স্থানে ৫৫ জন আহত হয়েছেন। 
যেসব স্থানে হামলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে প্রাদেশিক রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ ও পরিবহন কেন্দ্র তাবরিজ বিমানবন্দর। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। 

ইরানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিকটবর্তী শহীদ ফাকৌরি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং সংলগ্ন রেলওয়ে নেটওয়ার্কের কিছু অংশে অতিরিক্ত ক্ষতি হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তেহরানের একটি ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ২০ জন শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত হতাহতের মোট সংখ্যা প্রকাশ করেনি ইরান।

ইরানি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে হামলায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে দু’জন নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত শনিবার জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ