২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১০টি পদক অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে দুটি স্বর্ণপদক, চারটি রৌপ্যপদক ও চারটি ব্রোঞ্জপদক। রোবটিক্সের আন্তর্জাতিক এই উৎসবে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের দল অংশ নেয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ২৬টি দেশের প্রতিযোগীরা।

গত ১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে বুসান এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে (বেক্সকো) আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। ২১ জানুয়ারি অলিম্পিয়াডের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের পক্ষে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি জুনিয়র গ্রুপে আনাড়ি দলের আরিয়েত্তি ইসলাম ও ক্রিয়েটিভ মুভি ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে সিরিয়াসলি ক্লুলেস দলের সদস্য নামিয়া রওজাত নুবালা।  

রৌপ্যপদক অর্জন করেছে ফিজিক্যাল কম্পিউটিং জুনিয়র গ্রুপে আনাড়ি দলের আরিয়েত্তি ইসলাম, ক্রিয়েটিভ মুভি ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য নুসাইবা তাজরিন তানিশা ও টিম শিফু দলের সদস্য প্রিয়ন্তী দাস এবং ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি সিনিয়র গ্রুপে স্যাফ.

এআই দলের ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী হাসিন ইশরাক চৌধুরী তাহা, এ জেড এম ইমতেনান কবির ও আবরার আবির।

বাংলাদেশ দলের পক্ষে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ফিজিক্যাল কম্পিউটিং জুনিয়র গ্রুপে দ্যা স্ক্রু লুজ দলের সদস্য নাফিয়া বাসার সুহানী, একই ক্যাটাগরির সিনিয়র গ্রুপে জিরোথ দলের সদস্য নুসাইবা তাজরিন তানিশা ও সিরিয়াসলি ক্লুলেস দলের সদস্য নামিয়া রওজাত নুবালা এবং ক্রিয়েটিভ মুভি সিনিয়র গ্রুপে স্যাফ.এআই দলের ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী হাসিন ইশরাক চৌধুরী তাহা, এ জেড এম ইমতেনান কবির ও আবরার আবির। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আয়োজনে তিন ধাপে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সপ্তম বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড আয়োজিত হয়। এ অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দুই দিনের আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনি ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের বিভিন্ন মানদণ্ড বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ দল নির্ধারণ করা হয়। এরপর দুই মাসব্যাপী ২১টি হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্প করা হয়।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন বাংলাদেশ দলের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে রোবট অলিম্পিয়াডে আরো প্রতিযোগী পাঠানোর আশা ব্যক্ত করেছেন তারা।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বুসানে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশ নেয় বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড দল।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দল র সদস য ন ল দ শ দল দল র স

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ