‘ব্যাকআপ নেই, ভাঙাচোরা দল নিয়ে খেলতে হচ্ছে’- আক্ষেপ আরিফুলের
Published: 24th, January 2025 GMT
বিপিএলের শুরু থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্স শক্তিমত্তায় কিছুটা পিছিয়ে ছিল। টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, দলটির সমস্যাও ততই বেড়েছে। এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, একাদশ গঠন করাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হারের পর সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হক এমনই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সিলেটের স্কোয়াডে থাকা চার উইকেটকিপারই ফিটনেস সমস্যায় ভুগছেন। ফলে গতকাল ম্যাচে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে হয়েছে রনি তালুকদারকে। এ বিষয়ে আরিফুল বলেন, ‘আমাদের দলে চারজন উইকেটকিপার রয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই ফিট না থাকায় রনিকে দিয়ে কিপিং করাতে হচ্ছে। জাকের আলির পিঠে সমস্যা, জাকিরের হাঁটুতে চোট, আর মানজির আঙুলেও চোট লেগেছে। তাদের কারও কিপিং করার মতো অবস্থা নেই।’
বোলিং বিভাগের অবস্থাও বেশ করুণ। এ নিয়ে আরিফুল বলেন, ‘আমাদের মূল বোলার তানজিম হাসানের হাঁটুতে সমস্যা। চট্টগ্রামে তাকে পাইনি। নাহিদকে খেলানোর পরিকল্পনা করলেও তারও পিঠে চোট লেগেছে। একসঙ্গে এত সমস্যায় পড়েছি যে ১১ জন নিয়ে মাঠে নামাই এখন কঠিন হয়ে গেছে।’
সিলেটের বিদেশি তারকা রাকিম কর্নওয়ালের পুরো মৌসুম খেলার কথা থাকলেও ইনজুরির কারণে মাঝপথেই দেশে ফিরে গেছেন। এই প্রসঙ্গে আরিফুল বলেন, ‘আমাদের দল যেন চোটের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। এখন আর কোনো ব্যাকআপ খেলোয়াড় নেই। পুরো ভাঙাচোরা দল নিয়েই খেলতে হচ্ছে।’
বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় পেয়েছে সিলেট। ঢাকায় ফিরে শেষ তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল, দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং কিংস। চোটজর্জর দল নিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য এই তিন ম্যাচ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল আর ফ ল সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।