Samakal:
2025-06-16@09:00:07 GMT

পেঁপে চাষে লাভবান কৃষক

Published: 24th, January 2025 GMT

পেঁপে চাষে লাভবান কৃষক

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়া। স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন তিনি। পেশায় একজন ভালো ও পরিশ্রমী কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি জমি লিজ দেওয়ার ব্যবসা করেন। বড় ছেলের বয়স ১৫ এবং ছোট ছেলের ছয়। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বড় ছেলে। ছোট ছেলে স্কুলে ভর্তি হয়নি। নান্নু মিয়া জানান, ৪০ হাজার টাকা খরচ করে পেঁপের চাষ করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
জানা গেছে, পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় প্রোগ্রামস ফর পিপলস ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) বেড়া শাখার আওতায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। নান্নু মিয়া প্রতি বছরই লোকাল জাতের মরিচ, গো-খাদ্য ঘাস, পুঁইশাকসহ শাকসবজি চাষ করতেন। সমন্বিত কৃষি ইউনিটের এক কর্মকর্তা তাঁকে পিপিডি সম্পর্কে জানান এবং প্রথম অবস্থায় করমজা পূর্বপাড়া মহিলা সমিতিতে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তাঁকে উচ্চমূল্যের ফল, সবজি এবং পেঁপে চাষের জন্য বলা হলে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। 
নান্নু মিয়ার বাড়িতে দুটি গরু আছে। এরপর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মাধ্যমে তাঁকে উন্নত ও আধুনিক জাতের পেঁপে (টপলেডি) জাতের ৩০০টি চারা, জৈব ও রাসায়নিক সার, জৈব বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁকে দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। পেঁপে চাষের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে পুঁইশাকের আবাদ করেন তিনি। নান্নু মিয়া দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকার পাকা পেঁপে এবং সাথি ফসল হিসেবে পুঁইশাক বাজারে বিক্রি করেন। চাষ করতে তাঁর মোট খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। 
নান্নু মিয়া বলেন, ‘এই নতুন ধরনের ফসল এর আগে কখনও আবাদ করিনি। এই ফসলে দ্রুত ফল ধরে। সবজি এবং ফল দু’ভাবেই খাওয়া যায়। পাকা পেঁপের বাজার মূল্য অনেক বেশি।’ 
পিপিডির কৃষি কর্মকর্তা অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘করমজা পূর্বপাড়া বায়া গ্রামে দিন দিন পেঁপে চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। তবে কৃষকরা শুধু সবজি হিসেবে পেঁপে চাষ করছেন। বর্তমানে টপলেডি জাতের পেঁপে পাকা ফল ও সবজি দুই-ই বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।’ v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে ছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর ইডেন কলেজের আবাসিক হোস্টেলের পুকুরে ডুবে সানজিদা খাতুন রুপা (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সানজিদা অগ্রণী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কমার্স বিভাগে পড়তেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

ইডেন কলেজের খোদেজা খাতুন ছাত্রী নিবাসের অফিস সহকারী রিফাত আরা বলেন, কলেজে মোহনা নামের এক শিক্ষার্থীর কাছে সানজিদা এসেছিলেন। পরে পুকুরপাড়ে গিয়ে পানিতে পা ভেজাতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে মোহনাও পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় মোহনাকে জীবিত এবং পরে সানজিদাকে টেনে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়।

সানজিদার বড় ভাই তানভীর ইসলাম বলেন, সকালবেলা বাসা থেকে সে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে যাবে বলে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই, ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেলে এসে মৃত অবস্থায় পাই।

সানজিদার বাড়ি পুরান ঢাকার চকবাজারের ১২ নম্বর চম্পাকলীতে। তাঁর বাবার নাম সাইজ উদ্দিন। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সানজিদা ছিলেন ছোট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ