বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি- এনআরবি) নির্বাচিত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক চৌধুরী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার উসমানী মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে সিআইপি সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে মোমেনিন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে ৬১ জন আমিরাতপ্রবাসী সিআইপিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ও দুবাই কনসুলেট জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান এবং আজমানের শাসকের ছেলে শেখ মোহাম্মদ সাঈদ রশিদ হুমাইদ।

ওবায়দুল হক চৌধুরী সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সে দেশে ঠিকাদারি ব্যবসায়ী হিসেবে ২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। প্রথমে স্বল্প পরিসরে ঠিকাদারি করলেও বর্তমানে আমিরাতে একাধিক লাইসেন্স ও গাড়ির ওয়ার্কশপের মালিক ওবায়দুল হক চৌধুরী।

ওবায়দুল হক চৌধুরীর কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে শতাধিক কর্মচারী আছেন। আরব আমিরাতে ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও প্লাম্বিং ওয়ার্ক সেক্টরে অনেক বাংলাদেশির কর্মসংস্থান করেছেন এই প্রবাসী। 

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স আইপ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা

ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’

ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ