আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে দিনাজপুর। শনিবার উত্তরের এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্নমুখী তাপমাত্রা ও ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাস শীতের প্রকোপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিন দিন পর সকালে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ ছিল কম।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রার পাশাপাশি কমেছে দিনের তাপমাত্রাও।

আবহাওয়াবিদদের ভাষায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে সেটা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। সেই হিসাবে আজ দিনাজপুরে যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিম্নমুখী এই তাপমাত্রা কয়েক দিন বিরাজ করবে। এর পর অবস্থার উন্নতি হবে।

এদিকে উত্তরের আরেক জেলা কুড়িগ্রামের জনজীবন গত চার দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেখা নেই সূর্যের। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপদে শিশু ও বয়স্ক মানুষ।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭২২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা ভেদে বিতরণ কাজ চলমান।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স লস য় স র র কর ড কর দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিলের মডেল ২২বার ভোট দিয়েছেন ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে: রাহুল গান্ধী

কখনো সীমা, কখনো সুইটি, কখনো আবার সরস্বতী! ভোটার তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নাম। তবে সব নামের পাশে এক জনেরই ছবি। কে সেই রহস্যময়ী নারী? কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতার রাহুল গান্ধীর দাবি, ওই ছবি ব্রাজ়িলের এক মডেলের। বুধবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ভোটচুরির অভিযোগ তুললেন তিনি।

২০২৪ সালে হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। রাহুলের অভিযোগ, ভোটচুরি করে সেই নির্বাচন জিতেছে পদ্মশিবির। শুধু অভিযোগ তোলেননি, সঙ্গে উদাহরণও দিয়েছেন তিনি। তার দাবি, হরিয়ানার ভোটার তালিকায় এক ব্রাজ়িলিয়ান মডেলের ছবি ভিন্ন ভিন্ন নামের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্তত ২২টি ‘ভুয়া’ ভোটার কার্ডে ওই মডেলের ছবি ব্যবহার করে ‘জালিয়াতি’ করেছে বিজেপি।

কংগ্রেস নেতার দাবি, হরিয়ানায় দুই কোটি ভোটার। তার মধ্যে ২৫ লাখই ভুয়া! সেই হিসাবে হরিয়ানার মোট ভোটারের প্রায় ১২ শতাংশই জাল। বিজেপি সেই ভুয়া ভোটার কাজে লাগিয়ে হরিয়ানায় জিতেছে। 

তার ভাষ্য, “হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে বড় জালিয়াতি হয়েছে।”

রাহুলের অভিযোগ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নষ্ট করতে বিজেপি ‘পরিকল্পিত’ কৌশল নিয়েছিল হরিয়ানায়। আর সবটাই জানত নির্বাচন কমিশন। 

তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে হারাতে হরিয়ানায় বিজেপি কমিশনের সঙ্গে আঁতাঁত করেছিল। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় সব বুথফেরত সমীক্ষায় নিশ্চিতভাবে বলা হয়েছিল কংগ্রেস জিতছে। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল পুরো উল্টা ছবি। এটা কী ভাবে সম্ভব?”

এর কারণ ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেন, “হরিয়ানার ইতিহাসে প্রথম বার পোস্টাল ব্যালটগুলি প্রকৃত ভোটের সঙ্গে মেলেনি।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ