পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদীর কারখানা বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ডিএসইর একটি পরদির্শক দল সরেজমিনে পরিদর্শনে কারখানা বন্ধ পায়। তবে সাভারের কারখানাটি চালু আছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সাধারণত নিয়মিতভাবে কোম্পানি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করছে না বা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ নেই- এমন কারণে কোম্পানি পরিদর্শন করে থাকে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এরই ধরাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর ডমিনেজ স্টিল অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের নরসিংদীর কারখানা পরিদর্শনে যায় ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল। তবে পরিদর্শনে গিয়ে ডিএসইর প্রতিনিধি দল কারখানাটি বন্ধ পায়।

২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ডমিনেজ স্টিলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৯.

৮০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২২.৯০ টাকায়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ নিয়ে টানা সাত কার্যদিবস পুঁজিবাজারে পতন ঘটেছে।

এর ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার পয়েন্টের ঘরে নেমে এসেছে, যা সাড়ে চার মাস আগের অস্থানে নেমে এসেছে।

আরো পড়ুন:

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু

২২ বিনিয়োগকারীকে ৪০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ২০ মিনিটের পর থেকে সূচকের পতন লক্ষ্য করা যায়। এর পর আবার বেলার সাড়ে ১২টার দিকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরে। তবে ১টা নাগাদ সূচক ফের পতনমুখী অবস্থানে চলে আসে। লেনদেন শেষ পর্যন্ত পতনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৯.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে। এর আগে গত ৩০ জুন ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে। এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১.৮৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৮.৪৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৪০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭০টি কোম্পানির, কমেছে ২৭৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১টির।

এদিন, ডিএসইতে মোট ৩৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪০২ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৭৭.৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৬.৩৫ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৯.০৯ পয়েন্ট কমে ৮৬১ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৭২.৫০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯টির।

সিএসইতে ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত
  • পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে মনোস্পুল পেপার
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ৩.২২ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা