গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুর্চি মোড় এলাকায় একটি ঝুটের গোডাউন আগুন লেগেছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে সেখানে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট  আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

কোনাবাড়ি মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । 

আরো পড়ুন:

নাগেশ্বরীতে আগুনে পুড়ল ৮ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান  

হাজরাকাটি বাজারে আগুনে পুড়ল ৮টি দোকান

এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর আমবাগ বার্বুচি মোড়ে একটি ঝুটের গোডাউনে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন। আগুন ছড়িয়ে পড়লে কোনাবাড়ি মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ও চৌরাস্তা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

কোনাবাড়ি মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‍“ঝুটের গোডাউনে আগুন লেগেছে। আমাদের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ঝ ট র গ ড উন ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

গানের সুরে, মেজবানের ঘ্রাণে—সিডনি যেন এক দিনের চট্টগ্রাম

একদিকে মেজবানের ঘ্রাণে মাতোয়ারা পরিবেশ, অন্যদিকে মঞ্চে নকীব খানের কণ্ঠে সুরের ঝংকার-দুয়ের মেলবন্ধনে গত রোববার সিডনির ফেয়ারফিল্ড শোগ্রাউন্ড যেন পরিণত হয়েছিল এক টুকরা বাংলাদেশে। ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি অস্ট্রেলিয়া’ আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম উৎসব–২০২৫’ ছিল প্রবাসী বাঙালিদের এক দিনের আনন্দমেলা, যেখানে একদিকে মেজবানি মাংসের স্বাদে ভরে উঠেছে পেট আর অন্যদিকে নকীব খানের কালজয়ী গানে ভরে গেছে মন।

চট্টগ্রামের ঘ্রাণে সিডনি
৩০ বছরের রান্নার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাবুর্চি আবুল হোসেনকে বিশেষভাবে বাংলাদেশ থেকে আনা হয় এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে। দুপুর থেকেই ফেয়ারফিল্ড শোগ্রাউন্ডে শুরু হয় অতিথিদের ভিড়। প্রায় তিন হাজার মানুষের জন্য সাজানো হয়েছিল পাঁচটি পরিবেশন কর্নার, টেবিল আর সুশৃঙ্খল বসার ব্যবস্থা। কেউ বলছিলেন, ‘এ যেন বাংলাদেশের কোনো শিল্পপতির বাড়ির জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান।’ প্রবাসীদের একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে দেখা যায়। কেউ কেউ বলছিলেন, ‘সিডনিতে বসে আবুল বাবুর্চির মেজবানি খেতে পারব, ভাবতেই পারিনি। মনে হচ্ছিল, চট্টগ্রামের কোনো পাড়ার উৎসবে বসে আছি।’

সুরে সুরে নকীব খান
খাবারের পর শুরু হয় মঞ্চে সুরের আসর। সন্ধ্যা নামতেই আলো-রঙে মুখর মঞ্চে ওঠেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নকীব খান—রেনেসাঁ ব্যান্ডের প্রাণপুরুষ। ৬০ পেরিয়েও তাঁর কন্ঠে যেন সেই পুরোনো দীপ্তি ও সেই পরিচিত আবেগ। গানের শুরুতেই দর্শকেরা উঠে দাঁড়ালেন, কেউ মুঠোফোন হাতে ভিডিও করছেন, কেউবা মুগ্ধ হয়ে গলা মিলাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে।
নকীব খান একে একে গেয়ে শোনান ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘আর দেশে যাইও তুই’, ‘ভালো লাগে না’, ‘এমনই একটা দিন’—প্রতিটি গানেই দর্শকেরা কণ্ঠ মিলিয়েছেন। মঞ্চে ছিলেন স্থানীয় শিল্পীরা। তাঁদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী তরুণী আদিলা নূর গেয়ে শোনান সুপরিচিত গান।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় গীতিকার আবদুল্লাহ আল মামুন, যিনি ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ ও ‘মুখরিত জীবন’—এর মতো বিখ্যাত গানের গীতিকার। তিনি এক পর্যায়ে মঞ্চে উঠে গলায় ধরেন নিজের লেখা গান, নকীব খানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান তিনিও।

গীতিকার আবদুল্লাহ আল মামুন ও নকীব খান মঞ্চে

সম্পর্কিত নিবন্ধ