‘নারী লেখকের’ সবচেয়ে বড় বেদনা এই যে তিনি ‘নারী লেখক’ই রয়ে গেলেন, ‘লেখক’ হয়ে উঠতে আর পারলেন না। পৃথিবীতে এখন থেকে অন্তত ৪ হাজার ২০০ বছর আগে একজন নারী লেখকের কথা জানা যায়—এনহেদুয়ান্না। মেসোপটেমিয়া সভ্যতার অংশ ছিলেন তিনি; বর্তমানে যা দক্ষিণ ইরাক। সুমেরিয়ানদের লেখক এনহেদুয়ান্না প্রথম–পুরুষে রচনা করতেন। সেই প্রাচীন যুগের পথ ধরে কত নারী লেখক এলেন-গেলেন, কিন্তু কত কী লিখেও কেবল ‘নারী লেখক’ই বনে থাকলেন।
আচ্ছা, মিসরীয় সভ্যতায় দেয়ালে যে হায়ারোগ্লিফিক, তা কি কেবল পুরুষরোই করেছিলেন? পুরুষেরাই কি কেবল আঁচড় কেটেছিলেন প্যাপিরাসের পাতায়? যাক তবু তো মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এক নারীকে উল্লেখ করা হয়েছে! কী যে বেদনা, কী যে বেদনা…সাহিত্যজগতে ‘লেখক’ বলে মানে না, ওদিকে সংসারের লোকেরা সে রকম সাদাসিধা ‘গৃহিণী’ বলে মানে না। গৃহে থাকলেই যে ‘গৃহিণী’ হয় না—তার এত বিষয়ে জানতে হবে কেন? এত পড়াশোনাই–বা কিসের! আর কথা নেই বার্তা নেই নিঝুম রাতে লিখতে বসে যাবে?
সুলতানাজ ড্রিম–এ যে সাহস বেগম রোকেয়া দেখিয়েছিলেন, সেই সাহস পরে অনেক বছর নারী সাহিত্যিকেরা দেখাতে পারেননি। ছবি: পেঙ্গুইন প্রকাশিত সুলতানাজ ড্রিম ও পদ্মরাগ–এর প্রচ্ছদ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫টি দোকান
চট্টগ্রাম নগরের পুরোনো চান্দগাঁও থানা-সংলগ্ন খাজা রোড এলাকায় আগুনে পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে কালুরঘাট ও চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সোয়া ১০টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা হয়েছে।
কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফখরুদ্দিন জানান, একটি খাবারের দোকানে রাখা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের মুখে আগুন ধরে গিয়েছিল। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে একজন নারী সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।