অপারেশন রুমকে কেন ‘অপারেশন থিয়েটার’ বলা হয়
Published: 5th, November 2025 GMT
‘থিয়েটার’ শব্দটি এসেছে একটি গ্রিক শব্দ থেকে, যার অর্থ হলো 'দেখার জায়গা' বা প্রদর্শনের স্থান। তাহলে অপারেশন রুমকে ‘অপারেশন থিয়েটার’ বলার কারণ কী হতে পারে? মূল কারণ জানতে হলে ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে।
ঊনিশ শতকের শেষের দিকে এবং বিশ শতকের শুরুর দিকে যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটতে শুরু করে, তখন হাসপাতালগুলোতে অস্ত্রোপচারগুলো অনেকটা প্রদর্শনীর মতো করে করা হতো।
আরো পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
জাপানের রাস্তায় রাস্তায় ‘হিটেড বেঞ্চ’
মেডিকেল কলেজের ছাত্র, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এবং নার্সদের অস্ত্রোপচার পদ্ধতি শেখানোর জন্য একটি উঁচু মঞ্চ বা খোলা জায়গায় (অ্যাম্ফিথিয়েটারের মতো) অপারেশন করা হতো। চারপাশে ধাপযুক্ত আসন বা গ্যালারি থাকত, যেখানে বসে শিক্ষার্থীরা পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করত। যেহেতু এই স্থানগুলিতে বসে অনেক দর্শক (শিক্ষার্থী) অস্ত্রোপচার দেখতেন, তাই একে ‘অপারেশন থিয়েটার’ বলা শুরু হয়।
বর্তমানে অবশ্য অস্ত্রোপচার কক্ষগুলো সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত এবং নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ বজায় রেখে তৈরি করা হয়। ফলে শুধুমাত্র মেডিকেল কর্মীরাই প্রবেশ করতে পারেন এবং আগের মতো জনসাধারণের দেখার সুযোগ নেই। তবে ঐতিহাসিকভাবে চলে আসা ‘অপারেশন থিয়েটার’ শব্দটিই এখনও প্রচলিত।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল যুবলীগ নেতাকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে গাজী বোরহান উদ্দিন নামে এক যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) উপজেলার অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটে। গাজী বোরহান উদ্দিন অরুয়াইল যুবলীগের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর একাধিক মামলার আসামি হন সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক গাজী বোরহান উদ্দিন। মামলার আসামি হলেও তিনি ছিলেন প্রকাশ্যেই। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বোরহানকে গ্রেপ্তার করে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারের পর তাকে ক্যাম্পে নেওয়া হলে সেখানে জড়ো হন বোরহানের ভাই গাজী গিয়াস উদ্দিনসহ তাদের গোষ্ঠীর অন্তত দেড় থেকে দুইশ’ লোক। তাকে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।
পরে পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজী বোরহান উদ্দিনকে নিয়ে দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে সরাইল থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে পুলিশের উপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া হয় যুবলীগ নেতা বোরহানকে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘পুলিশ গাজী বোরহানকে গ্রেপ্তার করলো, পরবর্তীতে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে তাদের কাছ থেকে কীভাবে নিয়ে গেল তারাই তা ভাল বলতে পারবেন। যেহেতু এরইমধ্যে অনেক লোক পুলিশ ক্যাম্পে গেছে, সে অনুযায়ী যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে তাকে নিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। এমনকি তার হাতে হ্যান্ডকাফও ছিল না।”
এ বিষয়ে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক টিপু সুলতান ফোনে বলেন, ‘‘বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’ তবে বোরহান উদ্দিন পুলিশ হেফাজতে আছে কিনা? এই প্রশ্ন শুনে তিনি মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, “তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তার ১৪ গোষ্ঠীকে খুঁজতেছি, সে তো আর একা ছিল না। তার সাথে দুইশ’ জন লোক ছিল।”
পুলিশের কেউ এ ঘটনায় আহত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি অভিযানে বাইরে আছি, এটা এখনও বলার সময় হয়নি।”
ঢাকা/পলাশ/এস