নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি
Published: 5th, November 2025 GMT
নিউইয়র্ক সিটি ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। তিনি কেবল মুসলিম নয়, বরং শহরের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর ৫টা) আনুমানিক ১৭ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে শহরের নির্বাচন বোর্ড। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ, কুওমোকে সমর্থন ট্রাম্পের
৬০ হাজার ৮০২ টন গম নিয়ে দেশে এল যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জাহাজ
নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানির জয় পেয়েছেন এমন খবর পাওয়ার পর থেকে উল্লাস করেন তার সমর্থকরা। তারা “জোহারান, জোহারান, জোহারান বলে স্লোগা দিতে থাকেন।”
স্থানীয় ভোটাররা জানান, নির্বাচনের ফলাফলের আগে তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন, কিন্তু ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর পরিবেশ সম্পূর্ণ বদলে গেছে।
এক ভোটার বলেন, “আমি শক্তি অনুভব করতে পারছি, এটি স্পষ্ট—সবার মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।”
অন্য একজন বলেন, মামদানি আশার প্রতীক।
রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন মামদানির জয়কে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটি এক ‘সত্যিকারের চরমপন্থী ও মার্কসবাদী’ প্রার্থী নির্বাচিত করায় এর প্রভাব পুরো দেশে পড়বে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিজয়ীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ন উইয়র ক ন ম মদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জোহরান মামদানির সাফল্যে ডেমোক্র্যাটদের উচ্ছ্বাস; কিন্তু ক্ষমতায় ফেরা কি সহজ হবে
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা ও নেতৃত্ব—দুটিই হারানোর এক বছর পর ডেমোক্রেটিক পার্টি এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
মাসের পর মাস আত্মসমালোচনার পর এ সপ্তাহে তিনটি বড় নির্বাচনী লড়াই ডেমোক্র্যাটদের নতুন করে অতিপ্রয়োজনীয় গতি ও আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।
৩৪ বছর বয়সী এক ডেমোক্র্যাট সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ভার্জিনিয়ায় সাবেক একজন সিআইএ কর্মকর্তা এ অঙ্গরাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হয়েছেন।
আবার, নিউ জার্সিতে গভর্নর পদে নৌবাহিনীর সাবেক এক হেলিকপ্টার পাইলট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প–সমর্থিত রিপাবলিকান প্রার্থীকে পরাজিত করে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের বিরোধিতাকে মুখ্য ইস্যু করেছিলেন তিনি।
জয়ী এই তিন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হলেন যথাক্রমে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পরিষদ সদস্য জোহরান মামদানি, অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার ও নিউ জার্সি থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল। তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের প্রচার চালিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২০২৮ সালের ভোটের আগে কোনো নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকায় ডেমোক্র্যাটরা এখন ভাবছেন কীভাবে তাঁরা একটি স্পষ্ট বার্তা দেবেন, নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করবেন ও ভোটারদের ফিরিয়ে আনার নতুন কৌশল তৈরি করবেন।তিন প্রার্থীর এ জয় ডেমোক্র্যাটদের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে—২০২৬ সালের গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচনে ও নির্বাচনের পরে দলের নেতৃত্ব কারা নেবেন—মধ্যপন্থী নাকি বামপন্থীরা?
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২০২৮ সালের ভোটের আগে কোনো নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকায় ডেমোক্র্যাটরা এখন ভাবছেন কীভাবে তাঁরা একটি স্পষ্ট বার্তা দেবেন, নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করবেন ও ভোটারদের ফিরিয়ে আনার নতুন কৌশল তৈরি করবেন।
কেউ কেউ মনে করেন, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়সংকট মোকাবিলায় মনোযোগ বাড়িয়ে ডেমোক্র্যাটরা এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন। অন্যরা বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও জোরালো রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়া হবে জরুরি।
ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে বিজয়ী অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার (ডানে)