বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঘণ্টা তাহলে বেজেই গেল। বিপিএলের দল নির্বাচন। সাম্ভাব‌্য শুরু ও শেষের তারিখ। প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুয়েক দিনের মধ‌্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
পাঁচ দল নিয়ে হবে বিপিএলের আগামী আসর। গুলশানে নাভানা টাওয়ারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানাও চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন টগি স্পোর্টস রংপুর রাইডার্সের মালিকানা পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রংপুরকে তারাই প্রতিনিধিত্ব করছে। আগামী পাঁচ বছরও তারা থাকবে।
ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসকে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ছাড়া নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট ও চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস পেয়েছে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা। প্রত‌্যেককেই ফ্রাঞ্চাইজি দেয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন‌্য।
বিপিএলে ফ্রাঞ্চাইজি নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তিনটি বিষয়ে খেয়াল করেছে,
১) আর্থিক সামর্থ‌্য
২) ম‌্যানেজমেন্ট অ‌্যান্ড মোটিভেশন
৩) অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেটে সংশ্লিষ্টতা
এজন‌্য কাজ করেছে অডিট ফার্ম, ল এন্ড ফোর্সমেন্ট সংস্থা, বিসিবির নিজস্ব সোর্স।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতিখার রহমান মিঠু সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘১১টা টিম ছিল। সেখান থেকে তিনটি দল প্রথম সিলেকশনে বাদ পড়ে। পরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সর্বসম্মতিমতে এই পাঁচটি টিম চূড়ান্ত করতে পেরেছি।’’

পাঁচ দল নিয়ে বিপিএল আয়োজনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়বে বলেই আশাবাদ মিঠুর, ‘‘পাঁচ দলে বরং প্রতিযোগিতা বাড়বে। একেক দলে ১১ জন করে প্লেয়ার থাকবে। আমরা চাই দেশের সকলের সুযোগ দেওয়ার। যারা কনট্রাকটিভ হবে, তারা যাতে টাকা সময়মতো পায়। আমাদের বিপিএল যে এতটা তলানীতে চলে গেছে, সেটাই বড় কারণ।’’

দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি। আজ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি না পেলে ফ্র‌্যাঞ্চাইজি বাদও হতে পারে।

বিপিএলের ১২তম আসর ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা বিসিবির। ফাইনাল হতে পারে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি। আগেই নির্ধারণ করা ১৭ নভেম্বর হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।

রংপুর রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ঢাকা ক‌্যাপিটালস নামে বিপিএল খেলবে। এছাড়া চিটাগং বুলস, রাজশাহী স্টারস ও সিলেট ইউনাইটেড নামে মাঠে নামতে পারে দলগুলো।

ঢাকা/ইয়াসিন 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ঞ চ ইজ ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়ন পেয়েই খুলনায় বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর খুলনায় বিএনপির প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। দলের ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করে দোয়া মাহফিল, মোটর শোভাযাত্রা এবং সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু হয়েছে।

খুলনায় ছয়টি সংসদীয় আসন রয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করে। একটি আসন স্থগিত রেখেছে।

মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- খুলনা-২ আসনে সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনে আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ আসনে আলী আসগর লবি এবং খুলনা-৬ আসনে খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। তবে, খুলনা-১ আসনের প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং মনিরুল হাসান বাপ্পির মনোনয়নকে নতুন চমক বলে অভিহিত করেছে।

সূত্র মতে, খুলনা-২ আসনে প্রত্যাশীদের মধ্যে নগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলমসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা মনোনয়ন ছিলেন। তবে, দল মঞ্জুকে বেছে নিয়েছে। যিনি ২০২৩ সাল থেকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যহতিপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু নগরীতে তার অনুসারীর সংখ্যা রয়েছে প্রচুর।

অনুভূতি প্রকাশ করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘‘দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি তাদের আস্থা ও স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞ।’’

খুলনা-৩ আসনে দলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। যিনি আগে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

খুলনা-৪ আসনে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের মধ্যে মনোনয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। কিন্তু দলটি অবশেষে হেলালকে মনোনয়ন দেয়।

খুলনা-৫ আসনে প্রাক্তন এমপি এবং প্রাক্তন বিসিবি সভাপতি আলী আসগর লবিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

তবে, সবচেয়ে বড় চমকটি এসেছে খুলনা-৬ আসনে। যেখানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, বাসস চেয়ারম্যান আনোয়ার আল-দীন এবং স্থানীয় নেতা ডা. আব্দুল মজিদ এবং রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র বিএনপি নেতাকে সামনের দৌড়ে দেখা গেছে। তবুও দলটি মনিরুল হাসান বাপ্পিকে বেছে নিয়েছে। যিনি সম্প্রতি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব নিযুক্ত হয়েছেন।

মনোনয়নের কথা স্মরণ করে বাপ্পী বলেন, “আমি ৩৫ বছর ধরে এই দলে আছি। ছাত্রদল থেকে যুবদল ও বিএনপি। আমি সবসময় হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমেছি। দল আমার ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই মনোনয়ন প্রমাণ করে যে নিষ্ঠা কখনও বৃথা যায় না।”

এদিকে, মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে খুলনার নির্বাচনী এলাকায় এরইমধ্যে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন।

খুলনা-৪ আসনের আজিজুল বারী হেলাল রূপসা ঘাটের ব্যাংক মোড়ে এক দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে তার প্রচারণা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আবারো আমার জন্মস্থানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা অনেক সম্মানের।’’

খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পী তার প্রচারণা শুরু করেন তার বাবার কবর জিয়ারত, হাসপাতালে অসুস্থ দলীয় নেতাদের সাথে দেখা করে এবং কয়রা ও পাইকগাছার উপজেলা নেতাদের সাথে কথা বলে।

তিনি বলেন, “বুধবার জেলা পর্যায়ের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে প্রচারণা আরো জোরদার করা হবে।”

এদিকে, খুলনা-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বর্তমানে অসুস্থ থাকায় তার অনুসারীদের মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছেন।

মঞ্জুর অনুসারি সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই দলীয় কর্মীরা তার পক্ষে দিনব্যাপী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এখনো চালাচ্ছেন।”

খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলামের পক্ষেও প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। বকুল সমর্থকরা দিনব্যাপী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ