যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ হাজার গ্যালন নিয়ে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪
Published: 5th, November 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে ৩৮ হাজার গ্যালন নিয়ে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে উড্ডয়নের পরপরই এটি বিমানবন্দরের পাশের শিল্প এলাকায় গিয়ে পড়ে। সেখানে থাকা কেন্টাকি পেট্রোলিয়াম রিসাইক্লিং ও গ্রেড এ অটো পার্টস নামের দুটি প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবনও পুড়ে যায়।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এতে প্রায় ৩৮ হাজার গ্যালন (প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার লিটার) জেট জ্বালানি ছিল। এই বিপুল পরিমাণ জ্বালানিই আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ জেট জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ে, ফলে আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দমকলকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি, তবে সংখ্যাটি বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।”
তিনি বলেন, “যারা ভিডিওগুলো দেখেছেন, তারা জানেন এটি কতটা ভয়াবহ ছিল। অনেক পরিবার এখন উদ্বেগে অপেক্ষা করছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সঠিক তথ্য দিতে কাজ করছি।”
লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। আপাতত স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউপিএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমডি-১১ মডেলের কার্গো বিমানে তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। তারা জীবিত আছেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিমানটি উড্ডয়নের সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে যায়।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিস্তারিত তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা আবহাওয়া-সংক্রান্ত কারণ নিশ্চিত করা যায়নি।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন র প ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের সম্পদ বিদেশিদের দেওয়ার গোপন ও প্রকাশ্য তৎপরতা চালাচ্ছেন সরকারের উপদেষ্টারা: আনু মুহাম্মদ
সরকারের উপদেষ্টারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু তাঁরা ঠিক আগের সরকারের মতো কথা বলছেন। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার তৎপরতাও তাঁদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। জনগণের সম্পদ বিদেশিদের দিয়ে দেওয়ার নানা রকম গোপন ও প্রকাশ্য তৎপরতা চালাচ্ছেন তাঁরা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতা আ ফ ম মাহবুবুল হকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান, সেটা বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিচ্ছেন। টেন্ডার ছাড়া শেখ হাসিনা এই কোম্পানিকে এর দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার অসমাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সরকারের জোরজবরদস্তি দেখা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা হুমকি দিয়েছেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমাদের যে পরিবহন উপদেষ্টা আছেন, তিনি এমন সব কথাবার্তা বলছেন, যেগুলোর অর্থ দাঁড়ায় জোরজবরদস্তি করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, এই সরকারের কিছু সংস্কার করার কথা, নির্বাচন করার কথা। কিন্তু সে নির্দিষ্ট কয়েকটা দলের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এটা হচ্ছে সমস্যার কারণ এবং নির্দিষ্ট কয়েকটা দলের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি আবার তার কিছু পক্ষপাতের ঘটনা, সেটার কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তার মানে অন্তর্বর্তী সরকারের যে ভূমিকা পালন করার কথা, তার থেকে বিকৃতির কারণেই আজকের এই সমস্যা।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকার স্থায়ী সরকার না হলে আপনি স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি কীভাবে করেন? স্থায়ী সরকার না হলে বছরের পর বছরের জন্য এলএনজি আমদানির চুক্তিগুলো কীভাবে করেন? এগুলো আন্তর্জাতিক কিছু বহুজাতিক স্বার্থ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং দেশের মধ্যে দক্ষিণপন্থীদের প্রতিনিধিত্ব করা এই দুইয়ের সম্মেলন এই সরকারের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, লেখকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।