পাকিস্তানি মডেল-অভিনেত্রী হানিয়া আমির। পর্দায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য যেমন আলোচনায় থাকেন, তেমনি পর্দার বাইরে তার ব্যক্তিগত জীবন ও প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বের কারণেও আলোচিত হয়ে থাকেন। পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার ভক্ত রয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে পাকিস্তানি গায়ক অসীম আজহারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন হানিয়া আমির। বেশ আগে এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তারা। ফের অসীম আজহারের সঙ্গে নাম জড়ালেন হানিয়া। গুঞ্জন উড়ছে, হানিয়ার ভাঙা প্রেম জোড়া লেগেছে। 

আরো পড়ুন:

বিয়ে, সন্তান—সবকিছুই নিয়তির ব্যাপার: সাবা

সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিজেসিএসসির সৌজন্য সাক্ষাৎ

সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গেছে হানিয়া আমির ও অসীম আজহারকে। সেই মুহূর্তের একাধিক ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মূলত, এসব ভিডিও হানিয়া-অসীমের প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিয়েছে। আসীম তার ২৯তম জন্মদিনের আগে ঝাপসা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন, যেখানে হানিয়ার উপস্থিতি রয়েছে বলে অনেকে মনে করেছেন। এটিকে তাদের সম্পর্কের ‘সফট লঞ্চ’ বলে মন্তব্য নেটিজেনদের।

 

গায়ক অসীমের ২৯তম জন্মদিনের ব্যক্তিগত উদযাপনের ভিডিও এখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে হানিয়া ও আসীমকে একই স্থানে দেখা গেছে, যদিও তারা একসঙ্গে ছবি তোলেননি। অন্য একটি ছবিতে দেখা গেছে, তারা একসঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।

কয়েকটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হানিয়া-অসীম আবারো সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে হানিয়া বা আসীম—কেউই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেননি।

এই দুই তারকা একসময় পাকিস্তানি শোবিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটিগুলোর একটি ছিলেন। ২০১৮-২০১৯ সাল পর্যন্ত তারা সম্পর্কে ছিলেন, এরপর বিচ্ছেদ ঘটে। ২০২০ সালে হানিয়া প্রকাশ্যে বলেন, “আমরা শুধু ভালো বন্ধু।”

 

হানিয়া আমিরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর ইনফ্লুয়েন্সার ও অভিনেত্রী মেরুব আলীর সঙ্গে বাগদান সারেন অসীম। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে অর্থাৎ বাগদানের ৩ বছর পর এ সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। তবে গত আগস্টে গায়ক অসীমের কনসার্টে উপস্থিত হয়েছিলেন হানিয়া আমির। সবকিছু মিলিয়ে নেটেজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করছেন না।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা