Risingbd:
2025-11-10@20:19:58 GMT

সকালে গোসল করার উপকারিতা

Published: 5th, November 2025 GMT

সকালে গোসল করার উপকারিতা

যুগে যুগে মানুষ তাদের গোসলের সময় নির্ধারণ করেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে। কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সকালে গোসল করার মাধ্যমে প্রার্থনার আগে আত্মাকে শুদ্ধ করার রীতি রয়েছে। আবার কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সন্ধ্যার গোসল করাকে সামাজিক সাধারণ রীতিতে পরিণত করা হয়েছে। এই সময়ে দেখা যাচ্ছে, অনেকে ঘুম উন্নত করার জন্য রাতে গোসল করার সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তবে যাইহোক, কুসুম গরম পানিতে একটি উষ্ণ গোসল শরীর ও মনকে সহজে সতেজতা দিতে পারে। আজ আমরা কথা বলবো সকালে গোসল করার নানা উপকারিতা নিয়ে। 

ত্বক পরিষ্কার করে
রাতে ঘুমের সময় ত্বকের মৃত কোষ, ঘাম এবং ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে। সকালে গোসল করলে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আরো পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

সতেজতা ও উদ্যম বৃদ্ধি করে
সকালে গোসল করলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যায় এবং শরীর ও মন সতেজ হয়। এটি সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও উদ্যম জোগায়।

রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের রক্তনালীগুলো সক্রিয় হয়, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
নিয়মিত সকালে গোসলের অভ্যাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ
সকালের গোসল মানসিক চাপ, ব্যথা এবং বিষণ্ণতার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে মন ভালো থাকে।

মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি হয়
সকালে গোসল করলে মানসিক শান্তি বাড়ে এবং মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়। যা সৃজনশীল কাজের জন্য উপকারী।

পেশী শিথিল করে
সকাল-সকাল কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশীগুলো আরাম অনুভব করে, যা শারীরিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 

টাইম ম্যাগাজিনের তথ্য, ‘‘একটি উষ্ণ গোসল শরীরে একটি উষ্ন সংকেত দেয়। এবং এটি আপনার কোর থেকে ত্বকে উষ্ণ রক্ত পৌঁছে দেয়। যার ফলে শরীরের জমা অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যায়। ফলে সহজেই  ঠান্ডা ও আরাম অনুভব করা যায় এবং শরীর সার্কাডিয়ান ঘড়ির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করতে পারে।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন স হ য য কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় ঢাবিতে মানবেন্দ্র লারমাকে স্মরণ

সাবেক আইনপ্রণেতা ও বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় এক স্মরণসভায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

স্মরণসভার শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।

মানবেন্দ্র লারমা গরিব মেহনতি মানুষের নেতা উল্লেখ করে স্মরণসভায় সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘তিনি কেবল পাহাড়ি মানুষের নেতা ছিলেন না। বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সমগ্র নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। তিনি বাহাত্তরের সংবিধানে আদিবাসী, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি সে সময় সংসদে দাড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছিলেন যে তিনি একজন চাকমা, একজন চাকমা কোনো দিন বাঙালি হতে পারেন না।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘জুলাই সনদে আজকে আদিবাসী মানুষের কথা বলা নেই। অথচ কেবল মুখে বহুত্ববাদী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। বিগত সময়ের দলীয় সরকার নাহয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি। কিন্তু গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পাহাড়ি আদিবাসীরা কমপক্ষে দুটি সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিভাবে সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো উচ্চারণ করেনি।’

ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান যে চেতনা নিয়ে শুরু হয়েছিল, আজ সেই চেতনা মৌলবাদী শক্তির কাছে লুট হয়ে গেছে। সত্তরের দশকে নতুন বাংলাদেশে মহান নেতা মানবেন্দ্র লারমা সেই স্বপ্ন দেখছিলেন, যে স্বপ্ন একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার, গরিব মেহনতি তথা নিপীড়িত পাহাড়ি আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনেছিলেন।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে নিপীড়িত মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়নি, নারী-পুরুষের বৈষম্য বিলোপ এবং মেহনতি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়নি। সে সময় শোষিত মানুষের বন্ধু মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাঁদের হয়ে কথা বলেছেন। তিনি সংবিধান প্রণয়নের সময় শ্রমিক, গরিব ও আদিবাসী নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের যত রাজনৈতিক দল আছে, তারা অন্য জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার মতো মানসিকতা এখনো তৈরি করতে পারেনি। ভোটের আগে মুখে বললেও তা বাস্তবে বাস্তবায়ন করে না।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি রতন বলেন, ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা জুম্ম জাতির জন্য ছাত্রজীবন থেকে অধিকারের কথা বলেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সংবিধান যখন বাঙালি বলে আদিবাসী মানুষের পরিচয় করে দিতে চেয়েছিল, সেই সময় গণপরিষদে এম এন লারমা প্রতিবাদ করেছিলেন।’

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, সাংবাদিক সাইফুর রহমান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও নারীনেত্রী শিরিন হক। স্মরণসভা শেষে গান, কবিতা পাঠ ও প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ