যুগে যুগে মানুষ তাদের গোসলের সময় নির্ধারণ করেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে। কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সকালে গোসল করার মাধ্যমে প্রার্থনার আগে আত্মাকে শুদ্ধ করার রীতি রয়েছে। আবার কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সন্ধ্যার গোসল করাকে সামাজিক সাধারণ রীতিতে পরিণত করা হয়েছে। এই সময়ে দেখা যাচ্ছে, অনেকে ঘুম উন্নত করার জন্য রাতে গোসল করার সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তবে যাইহোক, কুসুম গরম পানিতে একটি উষ্ণ গোসল শরীর ও মনকে সহজে সতেজতা দিতে পারে। আজ আমরা কথা বলবো সকালে গোসল করার নানা উপকারিতা নিয়ে।
ত্বক পরিষ্কার করে
রাতে ঘুমের সময় ত্বকের মৃত কোষ, ঘাম এবং ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে। সকালে গোসল করলে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
আরো পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
সতেজতা ও উদ্যম বৃদ্ধি করে
সকালে গোসল করলে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যায় এবং শরীর ও মন সতেজ হয়। এটি সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও উদ্যম জোগায়।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের রক্তনালীগুলো সক্রিয় হয়, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
নিয়মিত সকালে গোসলের অভ্যাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ
সকালের গোসল মানসিক চাপ, ব্যথা এবং বিষণ্ণতার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে মন ভালো থাকে।
মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি হয়
সকালে গোসল করলে মানসিক শান্তি বাড়ে এবং মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়। যা সৃজনশীল কাজের জন্য উপকারী।
পেশী শিথিল করে
সকাল-সকাল কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে পেশীগুলো আরাম অনুভব করে, যা শারীরিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
টাইম ম্যাগাজিনের তথ্য, ‘‘একটি উষ্ণ গোসল শরীরে একটি উষ্ন সংকেত দেয়। এবং এটি আপনার কোর থেকে ত্বকে উষ্ণ রক্ত পৌঁছে দেয়। যার ফলে শরীরের জমা অতিরিক্ত তাপ বেরিয়ে যায়। ফলে সহজেই ঠান্ডা ও আরাম অনুভব করা যায় এবং শরীর সার্কাডিয়ান ঘড়ির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করতে পারে।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন স হ য য কর
এছাড়াও পড়ুন:
সরাইলে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার, দুই ঘণ্টা পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনতাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় গাজী বোরহান উদ্দিন (৪৮) নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার অরুয়াইল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বোরহান উদ্দিন অরুয়াইল ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ধামাওড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি বোরহান উদ্দিনকে গতকাল বিকেল চারটার দিকে অরুয়াইল বাজার থেকে সরাইল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁকে রাখা হয় অরুয়াইল অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে। এরপর থেকে ফাঁড়ির সামনে বোরহানের পক্ষের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশা ভাড়া করে বোরহানকে নিয়ে উপজেলা সদর থানার দিকে রওনা হন। এ সময় বোরহান উদ্দিনের ছোট তিন ভাই সাবেক ইউপি সদস্য গাজী বাহার উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ও রেহান উদ্দিনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বোরহান উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। তাঁকে আবারও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।