বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যতই শেষের দিকে যাচ্ছে ততই ক্রিকেটারদের পাওনা নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছেও ‘টাকা বুঝে পেয়েছেন’ কী না প্রশ্ন অবধারিত।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি, ২০২৫) খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে প্লে’অফ নিশ্চিতের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের নায়ক ডেভিড মালানও পাওনা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। নিজের দল থেকে পাওনা ঠিকঠাক বুঝে পেলেও পাওনা নিয়ে সমস্যার বিষয়টি নিয়ে মালান ওয়াকিবহাল।     

“আমাদের কাজ হচ্ছে খেলা এবং কারও কাজ হচ্ছে আমাদের টাকা দেওয়া। এ কারণে এত লিগ। আশা করি সামনে এমন হবে না। এটা সহজ কাজ। কারও যদি টাকা থাকে সে দল নেবে, না থাকলে দল নেবে না, সিম্পল ব্যাপার। এমনই হওয়া উচিত।”

আরো পড়ুন:

এবার দুই বিদেশি নিয়ে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রাজশাহী

টানা পাঁচ জয়ে রংপুরের পাশে বরিশাল

“আমি আসলে নিজের দল নিয়ে মন্তব্য করতে পারি। এই দলটা দারুণ। টুর্নামেন্ট যেটাই হোক না কেন, বেসিক জিনিসগুলো ঠিক রাখতে হবে। আমাদের বিদেশিদের নিয়েও কোনো সমস্যা নেই, এখনও পর্যন্ত। আশা করি সামনেও হবে না।’’ -আরও যোগ করেন মালান। 

বরিশালের বিপক্ষে খুলনা ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে। তাড়া করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। ৩৭ বলে ৬৩ রান নিয়ে ম্যাচসেরা হন মালান।

একই প্রশ্ন করা হয় খুলনার প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা উইলিয়াম বোসিস্টর কাছে। নিজে ঠিকঠাক পেলেও অন্য দলগুলো না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনিও, “হ্যাঁ। চুক্তি অনুযায়ী আমি পেয়েছি। অন্য দলে যে সমস্যা হচ্ছে তা আসলে হতাশার। তবে আমাদের দলে সব ঠিকঠাক আছে।” 

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার

দেশের প্রতি চারজনের একজন মানুষ এখনো বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশের জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন জিইডির সদস্য (সচিব) মনজুর হোসেন। আলোচক ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিবিএসের ২০১৯ সালের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএস) তথ্য ব্যবহার করে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) নিরূপণ করা হয়েছে।  বহুমাত্রিক দারিদ্র্য হলো দারিদ্র্য পরিমাপের একটি বিস্তৃত পদ্ধতি, যা শুধু আয় বা ভোগের মতো একক মাত্রার বাইরে গিয়ে দারিদ্র্যকে তার বিভিন্ন দিক থেকে বুঝতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের এ সূচকে তিনটি মাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাতে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই মাত্রাগুলোকে ১১টি আলাদা সূচকে ভাগ করা হয়েছে। যেমন জীবনযাত্রার মানের মধ্যে রয়েছে—বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, খাওয়ার পানি, বাসস্থান, রান্নার জ্বালানি, সম্পদ এবং ইন্টারনেট সংযোগ।

এমপিআই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে রয়েছে, যা সংখ্যায় প্রায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, আর শহরে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগে এই দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ, ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। জেলাগুলো হলো—বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এ হার ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

প্রধান অতিথি আনিসুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে এমপিআই-কে দারিদ্র্য দূরীকরণের একটি নতুন ও উদ্ভাবনী কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই পদ্ধতি সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। তিনি এ সূচককে নীতিনির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এ ছাড়া কিছু জেলায় দারিদ্র্যের হার বেশি হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে আরও গবেষণা করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এমপিআই ব্যবস্থাটি আয়ভিত্তিক দারিদ্র্য মাপকাঠিকে সম্পূরকভাবে সহায়তা করবে এবং এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেবে। সভাপতির বক্তব্যে মনজুর হোসেন জানান, জিইডি ভবিষ্যতেও নিয়মিত এই সূচক প্রকাশ করবে এবং নীতিনির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ