গোমার হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে ৭৭৩ মৃতদেহ
Published: 2nd, February 2025 GMT
পূর্ব কঙ্গোর গোমা শহর এবং এর আশেপাশের হাসপাতালের মর্গে ৭৭৩টি মৃতদেহ পড়ে আছে। রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীদের হামলায় এরা নিহত হয়েছে। শনিবার কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মর্গগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে। এর বাইরে রাস্তায় আরো মৃতদেহ পড়ে আছে। ২৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৮০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার তুতসি গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন এম২৩ বিদ্রোহীরা পূর্ব কঙ্গোর বৃহত্তম শহর এবং উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা দখল করে। এই শহরটিতে লাভজনক সোনা, কোল্টান এবং টিনের খনি রয়েছে। এরপর তারা দক্ষিণ কিভুর বুকাভুর দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু শুক্রবার বুরুন্ডির সেনাবাহিনীর সমর্থিত কঙ্গোলিজ সেনারা তাদের প্রতিহত করেছে।
সুপ্রশিক্ষিত এবং পেশাদারভাবে সশস্ত্র এম২৩ হলো রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহী আন্দোলনের একটি শাখা। এরা কঙ্গোর পূর্ব সীমান্তে আবির্ভূত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক উত্তেজনা দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকটকে আরো খারাপ করে তুলেছে। এম২৩ এবং কঙ্গোলিজ সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ গোমায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল