ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গভার্ন্যান্স স্টাডিজে মাস্টার্স, যোগ্যতা ডিগ্রি পাস
Published: 2nd, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রফেশনাল মাস্টার ইন গভার্ন্যান্স স্টাডিজ (পিএমজিএস) প্রোগ্রামে ১৮তম ব্যাচ প্রথম সেমিস্টারে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোর্সটির মেয়াদ ১৮ মাস ।
ভর্তির যোগ্যতা—১. প্রার্থীকে যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রির অধিকারী হতে হবে
২. স্নাতকসহ সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় শ্রেণি বা সিজিপিএ ২.
৩. সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করা প্রার্থীদের আবেদনের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে৪ ঘণ্টা আগেআবেদনপত্রের বিস্তারিত—নগদ ১ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কার্যালয় হতে (শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বেলা ৩টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত) ভর্তির আবেদনপত্র ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
যে সব কাগজ জমা দিতে হবে—আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিচের যেসব কাগজ জমা দিতে হবে।
১.তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
২.সব পরীক্ষার সনদপত্র
৩. নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার আরটিপি বৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, উপবৃত্তি-ভ্রমণ ভাতাসহ নানা সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেআবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঠিকানা—আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ: কক্ষ নং-৪১০ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন (৪র্থ তলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তির বিস্তারিত তথ্য—১. আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ আগস্ট ২০২৫।
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ২২ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার, সময়: বেলা ৩টা।
৩. ক্লাসের সময়: প্রতি শুক্রবার ও শনিবার ।
* বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট:
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার
বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, কড়াকড়ি মুদ্রানীতির প্রভাবে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, ২০২৫ সালের জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৬.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ধারা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। চেম্বার মনে করে, ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তা, আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ, জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি এবং কঠোর মুদ্রানীতির কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা আরো তীব্র হচ্ছে।
ডিসিসিআই আরো জানায়, ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার ফলে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায়, যা ব্যাংকিং খাতে মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ২৭.০৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ব্যবসায়িক আস্থা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসূদ হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে-যা ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্পসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলোর জন্য বড় চাপ তৈরি করছে বলে মনে করে ডিসিসিআই। সংস্থাটির ভাষ্য, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ সুদের হার উৎপাদন ও বিনিয়োগ খাতে ঋণের ভার বাড়াচ্ছে, ফলে সামগ্রিক অর্থনীতির গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৫) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরো কমিয়ে ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে আগের ছয় মাসে তা ছিল ৯.৮ শতাংশ। বিপরীতে সরকার খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০.৪ শতাংশ করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের মতে, এ ব্যবস্থায় সরকারি খাতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য আর্থিক খরচ ও প্রতিযোগিতা উভয়ই বেড়ে যাবে।
এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নীতিসূদ হার হ্রাস এবং ঋণ গ্রহণের শর্তাবলি সহজ করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। তারা সৎ ঋণগ্রহীতাদের রক্ষায় সহায়তা এবং তাৎক্ষণিক খেলাপি শ্রেণিতে পড়া এড়াতে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসে সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
সংস্থাটি মনে করে, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাতে কাঠামোগত সংস্কার, ঋণ বরাদ্দে স্বচ্ছতা এবং বাজারে তারল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
চূড়ান্তভাবে ডিসিসিআই বলছে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, বেসরকারি খাতে আস্থা পুনরুদ্ধার ও বিনিয়োগ বাড়াতে আরো নমনীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও খাতভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল মুদ্রানীতির বিকল্প নেই।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ