পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো.

আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউটিউবে দিনে মাত্র আধা ঘণ্টা ব্যয় করেই শিখতে পারেন ইংরেজি

যেকোনো ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো, বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু আমরা ইংরেজি শেখা শুরু করি ব্যাকরণ দিয়ে। এ জন‍্য দীর্ঘদিন পড়েও আমরা বেশির ভাগ মানুষ ভালো ইংরেজি শিখতে পারি না। অধিকাংশ মানুষের বলায়, শোনায়, নয় তো লেখায় কমবেশি সমস্যা থেকেই যায়।
আপনি শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, অভিভাবক—যা–ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে খুবই দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে এই কাজগুলো করুন।

১০ দিনে, ৩০ দিনে, ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, স্রেফ সরিয়ে রাখুন। এগুলো আপনি কেনেন ঠিকই কিন্তু তিন দিনও ঠিকমতো খুলে দেখেন না।

স্পোকেন ইংলিশের কোচিং বন্ধ করে দিন। কারণ, এই কোচিংয়ে আপনি ভর্তি হন ঠিকই কিন্তু এক সপ্তাহ যাওয়ার পর আর যান না। কিংবা কোচিংয়ে গিয়েও খুব বেশি লাভ আপনার হয়নি।

আপনার মুঠোফোন আছে, আইপ্যাড আছে, বাসায় ইন্টারনেট আছে। প্রতিদিন নিশ্চয়ই ইউটিউব, ফেসবুকে এটা-সেটা দেখে সময় ব্যয় করেন। আজ থেকে টানা ৩০ দিন ইংরেজি শেখায় দিন, আর এই সময়টা শুধু ইউটিউবে দেবেন।

ইংরেজি শেখার নানা চ‍্যানেল পাবেন ইউটিউবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ