’৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কলুষিত করেছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 2nd, August 2025 GMT
’৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশকে বহুক্ষেত্রে কলুষিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার)। তিনি বলেছেন, ‘অটোনমির (স্বায়ত্তশাসন) নামে শিক্ষকেরা কীভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছেন এবং জাতীয় রাজনীতির পঙ্কিল যে ধারা, সেটি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কলুষিত করেছে, সেটা আমরা সবাই জানি।’
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে ‘অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় পেলাম?’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, রাতারাতি কোনো সরকারের পক্ষে ’৭৩–এর অধ্যাদেশ বাতিল করা সম্ভব নয়। এটি ভেতর থেকে সংস্কারের বিষয়। এ জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দাবি তোলা দরকার বলেন তিনি।
সেমিনারে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির নেতারাই আবার প্রশাসনিক ক্ষমতায় থেকেছেন। এতে দ্বৈত ভূমিকা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিয়ে ছাত্রদেরই বেশি ভোগান্তি হয়েছে।
কুয়েটের ঘটনায় সরকার কিছুই করেনি, এটা বলা সঠিক নয় উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, কুয়েটের ঘটনায় সরকার দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে—একটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে, আরেকটি মন্ত্রণালয় থেকে। ইউজিসি তদন্ত করেছে আর্থিক অনিয়মসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি, মন্ত্রণালয়ের কমিটি মূলত ঘটনাগুলো কে ঘটিয়েছে, ছাত্রদের দাবি কী ছিল, দায় কার, সেটা খতিয়ে দেখেছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে একক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। এখন একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, যেখানে ইউজিসি প্রতিনিধি, একজন বিশেষজ্ঞ ও ভাইস চ্যান্সেলর থাকেন। এটিকে গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত রূপান্তর মনে করেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে যেসব ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন ওঠেনি।
জুলাই অভ্যুত্থান শিক্ষা খাতে বিকল্প প্রশ্ন উত্থাপন করেছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যে কাঠামোগত সমস্যা বিদ্যমান, সেগুলো নতুনভাবে চিন্তা করার দরকার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন