ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ-বিতর্ক, পেছনের সত্যটা কী
Published: 2nd, August 2025 GMT
গাজার ১৮ মাস বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশুর ছবি। শিশুটির কঙ্কালসার দেহে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হাড়গোড়, পাঁজর ও মেরুদণ্ড। ইন্টারনেটে গত সপ্তাহে দ্রুত ও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি।
বিবিসি, সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছবিটি ছাপা হয় এবং তা বিশ্বব্যাপী তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।
তবে ছবিটি ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও এর সমর্থকেরা দাবি করেছে, শিশুটির আগে থেকেই ‘স্বাস্থ্যগত জটিলতা’ ছিল।
এ দাবির ভিত্তিতেই ইসরায়েল ও এর সমর্থকেরা গাজায় শিশুদের অভুক্ত থাকার খবরকে ‘মিথ্যে প্রচার’ বলার চেষ্টা করছেন।
মিডল ইস্ট আই শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে, একটি অস্থায়ী তাঁবুতে। সেখানে তার মা হিদায়া বলছিলেন, কীভাবে তাঁর সন্তান মোহাম্মদ আল-মুতাওয়াক আজকের অবস্থায় পৌঁছেছে, সেই কাহিনি।
‘গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় আমি ছিলাম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা’—ওই সময়ের একটি বিয়ের হলের ধ্বংসাবশেষে দাঁড়িয়ে বলছিলেন হিদায়া। এ হল এখন তাঁদের বাসস্থান হিসেবে (অস্থায়ী তাঁবু) ব্যবহৃত হচ্ছে।
‘মোহাম্মদের (আল-মুতাওয়াক) জন্ম ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়ংকর পর্যায়ে ও (ফিলিস্তিনিদের) ক্ষুধায় মারার প্রথম দফার ইসরায়েলি অভিযানের দ্বিতীয় মাসে।
মিডল ইস্ট আই শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে, একটি অস্থায়ী তাঁবুতে। সেখানে তার মা হিদায়া বলছিলেন, কীভাবে তাঁর সন্তান মোহাম্মদ আল-মুতাওয়াক আজকের অবস্থায় পৌঁছেছে, সেই কাহিনি।‘জন্মের সময় ওর শরীরে কিছুটা অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, যা সামান্য পেশি দুর্বলতার কারণ হয়েছিল’, যোগ করেন হিদায়া।
তবে সেই প্রাথমিক সমস্যাগুলোর পরও আল–মুতাওয়াকের চিকিৎসা চলছিল এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল।
‘চিকিৎসকেরাও ওর উন্নতি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন’, বলেন হিদায়া।
তবে আল–মুতাওয়াক যখন মাত্র দুই মাস বয়সী, তখন হিদায়া নিজেই অপুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেন। ফলে সে আর বুকের দুধ খেত না এবং তখনই শুরু হয় দুধ আর বেবি ফর্মুলার জন্য সংগ্রামের নতুন অধ্যায়।
গাজায় স্বজনের মৃতদেহ নিয়ে আহাজারি করছেন দুই ব্যক্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউটিউবে দিনে মাত্র আধা ঘণ্টা ব্যয় করেই শিখতে পারেন ইংরেজি
যেকোনো ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো, বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু আমরা ইংরেজি শেখা শুরু করি ব্যাকরণ দিয়ে। এ জন্য দীর্ঘদিন পড়েও আমরা বেশির ভাগ মানুষ ভালো ইংরেজি শিখতে পারি না। অধিকাংশ মানুষের বলায়, শোনায়, নয় তো লেখায় কমবেশি সমস্যা থেকেই যায়।
আপনি শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, অভিভাবক—যা–ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে খুবই দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে এই কাজগুলো করুন।
১০ দিনে, ৩০ দিনে, ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, স্রেফ সরিয়ে রাখুন। এগুলো আপনি কেনেন ঠিকই কিন্তু তিন দিনও ঠিকমতো খুলে দেখেন না।
স্পোকেন ইংলিশের কোচিং বন্ধ করে দিন। কারণ, এই কোচিংয়ে আপনি ভর্তি হন ঠিকই কিন্তু এক সপ্তাহ যাওয়ার পর আর যান না। কিংবা কোচিংয়ে গিয়েও খুব বেশি লাভ আপনার হয়নি।
আপনার মুঠোফোন আছে, আইপ্যাড আছে, বাসায় ইন্টারনেট আছে। প্রতিদিন নিশ্চয়ই ইউটিউব, ফেসবুকে এটা-সেটা দেখে সময় ব্যয় করেন। আজ থেকে টানা ৩০ দিন ইংরেজি শেখায় দিন, আর এই সময়টা শুধু ইউটিউবে দেবেন।
ইংরেজি শেখার নানা চ্যানেল পাবেন ইউটিউবে