লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ফাইলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও শামীম মিঞার স্বাক্ষর ‘স্ক্যান করে সংযুক্ত’ করার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা জামায়াতের আমির হাছেন আলীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগে রয়েছে, ইউএনও শামীম মিঞার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ব্যবহার করে তিনি ১৩টি নিয়োগ ফাইল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পরপরই তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হওয়া হাতীবান্ধা মডেল কলেজে অধ্যক্ষের পদ নিয়ে চার জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। গত ১৩ মে হাছেন আলী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর তিনি কলেজের পক্ষ থেকে ১৩ জন নতুন নিয়োগ দেখিয়ে বেতন-ভাতার ফাইল শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠান। অভিযোগ রয়েছে, এসব ফাইলে ইউএনওর অনুমোদন দেখাতে তার স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, “আমি ওই নিয়োগ ফাইলগুলোতে স্বাক্ষর করিনি। আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ব্যবহৃত হয়েছে।”  

তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে এবং জবাব পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় হাছেন আলীকে উপজেলা আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার স্থলে সংগঠনের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু তাহের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও অব্যাহতির কারণ জানাতে রাজি হননি। তবে দলের অন্য নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, হাছেন আলী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাছেন আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা/ নিয়াজ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক য ন কর হ ছ ন আল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ