সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন হতে হবে
Published: 1st, August 2025 GMT
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন বাড়িয়ে ১০০ করতে হবে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে নারীদের। সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে নারীদের সরিয়ে না দিয়ে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে মর্যাদা নিয়ে তাঁরা রাজনীতি করতে পারেন।
আজ শুক্রবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অঙ্গসংগঠন জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারার সমালোচনা করেন তাঁরা। নারীর প্রশ্নে গোষ্ঠীস্বার্থ না দেখে নারীর স্বার্থ দেখতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তাঁরা।
রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় জাতীয় যুবশক্তি কার্যালয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্যে নারীদের প্রত্যয়’। অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক মর্যাদা সংরক্ষণ ও জাতীয় উন্নয়নে নারীদের গতিশীল অংশগ্রহণকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সমন্বিত পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নারীরা রাজনৈতিকভাবে সব সময় তাঁদের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় সব সময় পকেট গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যেখানে কখনো নারী ছিল না। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরও নারীদের পদ্ধতিগতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতি থেকে নারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। বোঝানো হয়েছে, নারীরা রাজনীতিতে অনিরাপদ। তিনি বলেন, রাজনীতিতে পুরুষেরা যে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন, সেই ঝুঁকি নারীরাও নিতে রাজি রয়েছেন। তাই বলে সাইবার বুলিং, হয়রানি করে নারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মেনে নিতে রাজি নন নারীরা। এ ধরনের হয়রানির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারও নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা বলেন, ‘রাজনীতিতে নারীর প্রসঙ্গ এলেই বলা হয়, নারীরা কি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন? নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন? অর্থাৎ রাজনীতিতে পুরুষের যোগ্যতা নিয়ে আমরা যত চিন্তিত, তার চেয়ে অনেক বেশি চিন্তিত নারীর যোগ্যতা নিয়ে। আমরা এতটাই চিন্তিত হই যে রাজনীতিতে নারীর চলার পথ বন্ধ করে দিই।’ তিনি আরও বলেন, পরিবেশ যদি বৈরী হয়, তাহলে নারীরা রাজনীতিতে টিকতে পারবেন না। তখন আবার একটি গোষ্ঠী বলবে, নারীরা টিকতে পারেননি। নারীর রাজনৈতিক সহায়ক পরিবেশ না থাকলে রাজপথে নারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি দীর্ঘ মেয়াদে নারী নেতৃত্বের প্রক্রিয়া তৈরিতে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা এবং সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
‘মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্যে নারীদের প্রত্যয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা। আজ শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় জাতীয় যুবশক্তি কার্যালয়ে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স রক ষ ত র জন ত ক র জন ত ত এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা