বর্ষায় নখের স্বাভাবিক আদ্রতা হারিয়ে যেতে পারে। এ সময় নখ অনেকাংশে মলিন দেখায়। নখের আদ্রতা কমে গেলে হলুদ দাগ দেখা যায়। এই সময় নখ ভালো রাখতে হলে এর আদ্রতা ধরে রাখতে হবে। তবেই নখের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে। ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে নখের আদ্রতা ঠিক রাখতে পারেন। 

অলিভ অয়েল
প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নখে ভালোভাবে অলিভ অয়েল মালিশ করে নিন। ৫ মিনিট মালিশ করলেই হবে। এতে নখের কিউটিকলগুলোর আর্দ্র ভাব বজায় থাকবে। অলিভ অয়েল না থাকলে নারকেল তেল ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।

মধু
নখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি কমাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য ২ চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ১৫ মিনিটের জন্য দুই হাতের আঙুলে এই মিশ্রণটি মেখে নিন। এতে নখের চারপাশের চামড়ার আর্দ্রতা ফিরবে। পাশাপাশি নখের ওপর পড়া হলদেটে ছোপও পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিশেষ করে যারা রান্না করেন, তারা নখের যত্নে এই নিয়ম মানতে পারেন।

আরো পড়ুন:

পেটের ওপরের অংশে ব্যথা, রেড ফ্ল্যাগ সিনড্রোমগুলো জেনে নিন

সন্তানকে টাকার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এই নিয়মগুলো মানতে পারেন

লেবুর রস
নখ থেকে দাগছোপ, হলদেটে ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর লেবুর রস। লেবুর রসে আছে ভিটামিন সি। যা নখ দ্রুত বাড়তে এবং নখ উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। তুলোয় লেবুর রস নিয়ে নখের উপর বুলিয়ে নিন। এই টোটকা সপ্তাহে দুই বার করলেই নখ বাড়বে। তাহলে বর্ষায়ও নেল আর্ট করিয়ে নিতে পারবেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন ল ব র রস

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ