জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯৪ শতাংশ
Published: 4th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দেশে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। যা ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিএস’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যেটি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ থাকলেও জানুয়ারি মাসে সেটি বেড়ে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামীণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হারও কমেছে গত জানুয়ারি মাসে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গ্রামীণ এলাকায় পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।
এছাড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় অ-খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শহরাঞ্চলে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শহরাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এএ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ২০২৫ স ল র জ ন য় র ৯ দশম ক দশম ক ৯
এছাড়াও পড়ুন:
পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের নিন্দা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে মসজিদে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা অনবরত বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আল–জাজিরাকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সালফিত এলাকার কাছে দেইর ইস্তিয়া গ্রামের হাজ্জা হামিদা মসজিদে আগুন দেন।
ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদের দেয়ালে স্প্রে ব্যবহার করে বর্ণবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিনবিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছে। আগুনে মসজিদের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পবিত্র কোরআনের কিছু কপিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। বলেছে, এর মধ্য দিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জায়গাগুলোতেও ইসরায়েলি বর্বরতার কথা সামনে এসেছে।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই ঘটনার বাইরে পশ্চিম তীরের দক্ষিণে হেবরনের কাছে বেইত উম্মার শহরে গতকাল এক অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়।
এসব সহিংসতার ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে, যখন কিনা চলতি বছর পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও সেনাদের হামলার সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। এসব হামলার বড় অংশই ঘটছে ২০২৫ সালের জলপাই চাষের মৌসুমকে ঘিরে।
মসজিদের পুড়িয়ে দেওয়া অংশ দেখছেন এক ফিলিস্তিনি। দেইর ইস্তিয়া, সালফিত, পশ্চিম তীর, ১৩ নভেম্বর ২০২৫