আকাশ পর্যবেক্ষণ শিশুশিক্ষার্থীদের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
Published: 9th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং গ্রিন বাড নার্সারি স্কুল, গোপীবাগের যৌথ উদ্যোগে টেলিস্কোপে আকাশ দেখবার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গ্রিন বাড নার্সারি স্কুলের শিক্ষার্থী, গোপীবাগ এলাকার স্থানীয় মানুষসহ প্রায় ৩৪০ জন এই পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করে। স্থানীয় শহীদ জিয়া খেলার মাঠে আয়োজিত ক্যাম্পে টেলিস্কোপে চাঁদ এবং বৃহস্পতি গ্রহ ও তার গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলো দেখানো হয়।
সূর্যাস্তের আধা ঘণ্টা আগে থেকেই চাঁদকে আকাশের পূর্ব অংশে দেখা যাচ্ছিল। চাঁদ পর্যবেক্ষণ করতে করতে সন্ধ্যা নেমে আসে। মাথার ওপরে জেনিথ পজিশনে গ্রহরাজ বৃহস্পতিকে দেখা যায়। টেলিস্কোপে বৃহস্পতি গ্রহ এবং তার চারটি গ্যালিলিয়ান উপগ্রহগুলো দেখে শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমি ব্যর্থ হয়েছি: বাঁধন
কখনো পরিবার, কখনো সমাজ—সবাই চেয়েছে তাকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালতে। কিন্তু বাঁধন ভেঙেছেন সেই ছাঁচ। হ্যাঁ, তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ‘প্রত্যাশিত নারী’ হতে, অথচ সেই ব্যর্থতাকেই এখন মনে করছেন জীবনের বড় সাফল্য।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নিজেকে ‘সমাজ আর একজন অস্বস্তিকর নারী’ আখ্যায়িত করেছেন বাঁধন। সেখানে তিনি খোলামেলা স্বীকার করেছেন নিজের ব্যর্থতার কথাও।
আরো পড়ুন:
আলোচনায় নুহাশ হুমায়ূনের ফেসবুক পোস্ট
বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
বাঁধন লিখেছেন, “আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখবে। অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেওয়া মেয়ে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। চেষ্টা করেছিলাম পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, সমাজের বানানো ‘নারী’ হয়ে বাঁচতে। কিন্তু পারিনি। আর আজ, সেই ব্যর্থতার জন্যই আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই।”
ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি অন্য কারো স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা হয়তো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ হয়তো অনেকের স্বস্তি ভেঙে দেয়। আমি সহজ নই, কিন্তু নির্মমও নই। আমি কাউকে আঘাত করি না, অসম্মানও করি না—যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।”
কয়েক দিন পরই ৪২ বছরে পা দেবেন এই অভিনেত্রী। বয়সের এ পর্যায়ে তিনি খুঁজে পেয়েছেন ভেতরের শান্তি। বাঁধনের ভাষায়, “চল্লিশের পর আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে—স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ কষ্ট পেলে উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক—আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, যত মানুষ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে ভালোবাসি।”
তার পোস্টের শেষ লাইনগুলোতে উঠে এসেছে আত্মসম্মান আর আত্মবিশ্বাসের এক দৃঢ় উচ্চারণ, “আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত