কারও পছন্দ কুলবরই, কারও–বা সাধারণ বরই। কেউ আবার খান বাউকুল বা আপেল কুল। স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা ভালো? এত রকম বরইয়ের পুষ্টির তফাতই–বা কী? সব বরই কি সবাই খেতে পারেন? কিংবা বরইয়ের কি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে? জেনে নিন আজ।
যেকোনো ধরনের বরইয়ে আছে ভিটামিন সি। শীতের সময়টায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে তাই বরই খেতেই পারেন। পটাশিয়াম আর কিছুটা ক্যালসিয়ামও পাবেন, সামান্য জিঙ্ক ও কপার থাকে। খোসাসহ খাওয়া হয় বলে বরই থেকে আঁশও পাবেন, যা কোষ্টকাঠিন্য এড়াতে সাহায্য করে। আর জলীয় অংশ বা পানি তো থাকেই। বিভিন্ন জাতের বরই থেকেই আপনি এসব পুষ্টি উপাদান পাবেন। তবে বরইয়ের আকার বা জাত অনুযায়ী পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কমবেশি হয়। আর লাল বরইয়ে এসবের পাশাপাশি পাবেন আয়রন ও বিটা ক্যারোটিন। এমনটাই জানালেন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।
আরও পড়ুনবরই দিয়ে পাবদা মাছের খাট্টা বা টকের রেসিপি ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ক্যালরির হিসাব-নিকাশধরা যাক, আপনি দু-তিনটি বরই খেলেন। এই বরই থেকে আপনি ঠিক কতটা ক্যালরি পাবেন, তা নির্ভর করছে বরইয়ের আকার ও স্বাদের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই যে বরইয়ের আকার বড় কিংবা যেটির স্বাদ মিষ্টি, সেটিতে ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা বেশি হবে। তা সেটি যে জাতেরই বরই হোক না কেন। ১০০ গ্রাম বরই থেকে আপনি ৬০–৭০ কিলোক্যালরি পেতে পারেন।
লাল বরইয়ে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বরই থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।