ইতিবাচকতা এমন এক জিনিস, যা চাইলে সবচেয়ে খারাপ কিছু থেকেও বের করে ফেলা যায়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন উদাহরণ হতে পারেন এই বিষয়ে। বিপিএলের শেষ আট ম্যাচে ফরচুন বরিশালের একাদশে জায়গা হয়নি তার। এ নিয়ে চারদিকে নানা শোরগোল—অথচ তিনি কি না এতেও ইতিবাচক কিছুই খুঁজে পেলেন!

বিপিএলের শেষদিকে নাজমুলের অনুশীলনের ঠিকানা বদলে গিয়েছিল। ফরচুন বরিশালের সঙ্গে একাডেমি মাঠ নয়, তিনি অনুশীলন করেছেন ইনডোরের মাঠে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। ম্যাচ না খেলার ইতিবাচক দিকটা তিনি খুঁজে পেয়েছেন এখানেই।

কীভাবে? চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তাই ব্যাখ্যা করেছেন নাজমুল, ‘ম্যাচ খেলতে পারি নাই, এর ভেতরেও ইতিবাচক কিছু দিক ছিল। নিয়মিতই অতিরিক্ত ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আরেকটু প্রস্তুত হতে পারি, ওখানে কোচরা সাহায্য করেছে। পাশাপাশি আমি ফিটনেসটা নিয়েও কাজ করেছি। বিপিএলের ওই সময়টা খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। আশা করছি যে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা ভালো যাবে।’

জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েও বিপিএলে নিয়মিত দলে সুযোগ পাননি নাজমুল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

হতাহতের ছবি-ভিডিও সরাতে ও ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ চেয়ে রিট, আদেশ ৩ আগস্ট

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি ও ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। এ রিটের ওপর আদেশের জন্য ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ধার্য করেন।

ওই ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ ২৯ জুলাই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।

উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ২১ জুলাই বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত হিসাবে, ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪।

পরে আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোতে শিশুদের প্রায় পোশাকহীন, অগ্নিদগ্ধ ও আহত অবস্থায় দেখা যায়। এসব ছবি–ভিডিও শিশুদের পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের ট্রমাটাইজ (মানসিকভাবে আঘাত) করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি–ভিডিও প্রকাশে সংবেদনশীল হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ছবি ব্যবহারে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। তাই হতাহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ