সরকারে বসে রাজনৈতিক দল বানালে মানা হবে না: মির্জা ফখরুল
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, উপদেষ্টাদের মুখে স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ সুযোগ আছে বলার পর নিজেদের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে চায় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
সরকারে বসে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করা হলে তা মেনে নেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে ঢাকার চার মহানগরে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনো সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ আর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি এক এগারোর ভুক্তভোগী জানিয়ে আবারও সেরকম কোনো চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারালে আবারো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।
খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে এই আলোচনা সভায় ছাত্রদলের নেতারা দাবি করেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ইন্ধনে গুপ্ত হামলা করে বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বৈষম্য বিরোধী নামধারী একটি মহল।
গণ-অভ্যুত্থানের পর পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে দাবি করে শিক্ষাঙ্গনে নতুন ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে দাবি করেন মহানগরের নেতারা।
ছাত্রদলের এই আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। জানান, নিরপেক্ষতা হারালে দরকার হতে পারে আরও একটি নিরপেক্ষ সরকার।
বিএনপি মহাসচিব স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নিজেদের স্বার্থে পলাতকদের পুনর্বাসন করছে কিনা এমন প্রশ্ন রেখে আবারও এক এগারোর মত কিছু ঘটানোর চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করারও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।
এছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে গভীর রাতে বুড়া-বুড়ির বাড়িতে হামলা
বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় ইট ভাটার মাটি কাটতে না দেয়ায় নিরিহ নিরপরাধ বৃদ্ধ দম্পত্তির (বুড়া-বুড়ি) নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও বাড়ি ঘরে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে একটি ইট ভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এরপর উল্টো তাদের ধরে নিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। পরে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে পুলিশ মামলা না নেয়ায় আতংকে রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, বন্দরের জাঙ্গালের বাকদোবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত ৩টি ব্রিক ফিল্ডের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন। সে সাধারন মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে মাটি কেটে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে।
ভূক্ত ভোগী বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় বৃদ্ধা মহিলা মিনারা বেগম মিনু জানান, আমার জমি জমার বিভিন্ন ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে ইট ভাটার মালিক আলমগীর জোর পূর্বক দখল করে মাটি কাটার চেষ্টা চালায়।
আমি ও আমার পরিবার এতে জোরালো আপত্তি করি এবং আমার স্বামী তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। এতে ইট ভাটার মালিক আমাদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের প্রানে মেরে ফেলার জন্য আলমগীর নানা ষড়যন্ত্রের ফাদ পাততে থাকে।
আর এ কাজে থানা পুলিশকে সে ম্যানেজ করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের জীবন শেষ করে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। গত ২০ এপ্রিল রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে গভীর রাত ৩টা পর্যন্ত বন্দর থানার দারোগা জলিল, শরীফ ও বন্দর কামতাল ফাড়ির দারোগা মনির সহ প্রায় ২৫ জন পুলিশ আমার বাড়ীর চারদিকে ঘেরাও করে রাখে।
এসময় ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের প্রায় ২০/২৫ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দা, সাবল, বটি, খুন্তি, কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বাড়ীর গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পরবর্তীতে বন্দর থানা পুলিশ বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার বৃদ্ধ স্বামীকে জোর পূর্বক থানার পুলিশ ভ্যানে তুলতে চায়।
বন্দর থানা পুলিশ কোন মামলা ছাড়াই বিনা ওয়ারেন্টে টানা হেচড়া করে আমাদেরকে থানায় নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি মামলা ছাড়া বিনা ওয়ারেন্ট আমাদের কেন থানায় নিয়া যাবেন জানেত চাইলে আমাকে ও আমার স্বামী আঃ বাতেন (৬০) কে বেধম প্রহার করেন। আমি একজন বৃদ্ধা মহিলা হওয়া স্বত্তেও পুলিশ আমাকে উপর্যপুরি ৪টি বেত্রাঘাত করে।
তখন আমি পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কোন মতে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেলেও গভীর রাত ৩টায় আমার স্বামী আঃ বাতেন (৬০)কে জোরপূর্বক বন্দর থানায় নিয়া যায়।
থানায় নিয়ে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের ম্যানেজার মজিবরকে বাদী বানাইয়া আমাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ১০/১৩/১৬ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা নং-২৪৪২৫ দায়ের করেন।
বন্দর থানার পুলিশ আমার স্বামীকে ২০ এপ্রিল ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে রিমান্ডের আবেদন না-মঞ্জুর পূর্বক জামিন প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে গত ২২ এপ্রিল আমি বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করলে মহামান্য আদালত আমাকেও জামিন প্রদান করেন।
বর্তমানে আমরা আদালত থেকে জামিন নেয়র পর এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করতে গেলে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের দাপটের কারনে পুলিশ কোন মামলা নিচ্ছে না।
এখন আমি আদালতে প্রতিকার চেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমি এই ঘটনার সুুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বন্দর থানার ওসির মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।