সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, উপদেষ্টাদের মুখে স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ সুযোগ আছে বলার পর নিজেদের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে চায় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

সরকারে বসে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করা হলে তা মেনে নেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে ঢাকার চার মহানগরে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনো সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ আর গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি এক এগারোর ভুক্তভোগী জানিয়ে আবারও সেরকম কোনো চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা হারালে আবারো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।

খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে এই আলোচনা সভায় ছাত্রদলের নেতারা দাবি করেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ইন্ধনে গুপ্ত হামলা করে বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বৈষম্য বিরোধী নামধারী একটি মহল।

গণ-অভ্যুত্থানের পর পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে দাবি করে শিক্ষাঙ্গনে নতুন ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে দাবি করেন মহানগরের নেতারা।

ছাত্রদলের এই আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। জানান, নিরপেক্ষতা হারালে দরকার হতে পারে আরও একটি নিরপেক্ষ সরকার।

বিএনপি মহাসচিব স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে নিজেদের স্বার্থে পলাতকদের পুনর্বাসন করছে কিনা এমন প্রশ্ন রেখে আবারও এক এগারোর মত কিছু ঘটানোর চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করারও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।

এছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। 

এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরো পড়ুন:

কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল

জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত

লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, ‍“২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।” 

“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।

জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি