রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দলকে এ বছর একুশে পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ প্রদান করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

পদকপ্রাপ্তরা হলেন- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন ও চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর), গবেষণায় মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড.

নিয়াজ জামান।

এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহদী হাসান খান (দলনেতা), রিফাত নবী (দলগত), মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম (দলগত) ও শাবাব মুস্তাফা (দলগত)। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিতে চায়। সে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। ছেলেরাও প্রস্তুত, মেয়েরাও প্রস্তুত। তারা ঘুণে ধরা, আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। যে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সকল সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সকল সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোরকমে বিঘ্নিত না হয় এবং পৃথিবীর উপর বসবাসরত সব প্রাণীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা কোনো ক্রমেই বিঘ্নিত না হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব যারা আজ একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন তাদের দেশবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের অবদানের জন্য জাতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আপনারা জাতির পথ প্রদর্শক। আপনাদের অবদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি দৃঢ় বিশ্বাসে জাতিপুঞ্জের মজলিসে ক্রমাগতভাবে উন্নততর অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক শ পদক

এছাড়াও পড়ুন:

ওরিক্স প্রেজেন্টস বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (বিসিএল) ২০২৫-এর ট্রফি উন্মোচন

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিহা) “ওরিক্স প্রেজেন্টস বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (বিসিএল) ২০২৫”এর ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) শেরাটন ঢাকায় এ ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই প্রতিযোগিতা শুরু হবে ৮ মে ২০২৫ থেকে এবং চলবে টানা ১৪ দিন। চূড়ান্ত ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৬ মে ২০২৫ তারিখে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হোটেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমারি ঢাকা, অ্যাসকট প্যালেস ঢাকা, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মেপল লিফ, ক্রাউন প্লাজা ঢাকা গুলশান, হানসা-এ প্রিমিয়াম রেসিডেন্স, হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টার (আইএইচজি হোটেল), হোটেল ওমনি রেসিডেন্সি ঢাকা, হোটেল সারিনা ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, লেকশোর বনানী, লে মেরিডিয়ান ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকা, প্লাটিনাম হোটেলস বাই শেলটেক, রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল, সায়মান বিচ রিসোর্ট লিমিটেড, শেরাটন ঢাকা, সিক্স সিজনস হোটেল, দি পেনিনসুলা চট্টগ্রাম পিএলসি, দি রেইনট্রি ঢাকা এবং দি ওয়েস্টিন ঢাকা।

মোট ২০টি বিখ্যাত হোটেল এরই মধ্যে বিসিএল ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। সবাই একসাথে হাত মিলিয়েছে এক ছন্দে, এক স্বপ্নে। এখানে প্রতিযোগিতা নয়, বন্ধুত্বের গল্প লেখা হবে; প্রতিটি ছক্কায়, প্রতিটি উইকেটে বাজবে একতার জয়ধ্বনি।

ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ বলেন, “আতিথেয়তা খাতের পেশাজীবীদের এমন ভিন্নধর্মী উদ্যোগে একত্রিত হতে দেখে সত্যিই ভাল লাগছে, যেখানে তারা কেবল মাঠে প্রতিভা প্রদর্শন করছেন না বরং নিজেদের সম্প্রদায়ের শক্তিও তুলে ধরছেন।”

বিহা এর প্রেসিডেন্ট এইচ এম হাকিম আলী তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২৫ আতিথেয়তা খাতের ঐক্য ও উদ্দীপনার প্রকৃত প্রতিচ্ছবি।”

বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২৫-এর চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা সবাই আতিথেয়তা খাতে কাজ করি খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নিয়ে, দৃঢ় দলীয় চেতনা বজায় রেখে এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলি। তাই, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ মানসিকতা ও শারীরিক সক্ষমতা উভয়ই বৃদ্ধি করে। এটি আমাদের দলগত কাজ ও দায়িত্ববোধও শিক্ষা দেয়। বিহা -কে অসংখ্য ধন্যবাদ, এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য, যা সকল হোটেলকর্মীদের একই প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে এবং সরকারের অনুমোদন পেয়েছে।”

ওরিক্স প্রেজেন্টস বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২৫ পাওয়ার্ড বাই লিলি, সহযোগিতায় নুর আলী ফ্যামিলি ট্রাস্ট, মিডিয়ার আলো ছড়াচ্ছে যমুনা টেলিভিশন। উৎসবের সম্প্রচার সঙ্গী সাইলেন্ট স্পোর্টস। গর্বের জার্সি প্রস্তুত করেছে এমভি ট্রেডার্স। চলাফেরার নির্ভরতা হানসা ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং অ্যাট ইয়োর সার্ভিসেস লিমিটেড।

এছাড়া এই মহাযাত্রায় আস্থা ও সমর্থন যুগিয়েছে সানবিট, টাইলক্স, অ্যাকনল, হারলান, ডাইভার্সি, ইউএস-বাংলা, নুর ট্রেড হাউস, কোয়ালিটি এগ্রো, প্রাণ এগ্রো, বেঙ্গল মিট এবং তাজ এন্টারপ্রাইজ।

বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ একটি পথপ্রদর্শক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, যেখানে বাংলাদেশের সকল বিহা সদস্য হোটেলকে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটি আতিথেয়তা ও ক্রীড়ার এক অনন্য মেলবন্ধন। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে হোটেলগুলো শুধুমাত্র প্রতিযোগিতা করে না বরং দলীয় চেতনা ও সৌহার্দ্যের এক দুর্দান্ত উদাহরণ স্থাপন করে। বিলাসবহুল চেইন হোক বা বুটিক হোটেল, প্রতিটি দল তাদের হোটেলের গর্ব এবং খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে।

হোটেল স্টাফদের একত্রিত হওয়ার, কর্মস্থলের গণ্ডি ছাড়িয়ে দলগত চেতনা ও বন্ধুত্ব গড়ে তোলার এই দুর্লভ সুযোগ, যেখানে তারা ক্রিকেট গিয়ারে সজ্জিত হয়ে প্রতিভা প্রদর্শন করতে এবং খেলার উত্তেজনা উপভোগ করতে পারে।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওরিক্স প্রেজেন্টস বিহা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (বিসিএল) ২০২৫-এর ট্রফি উন্মোচন