উন্নয়নের করাতে প্রাণ হারানো গাছে শ্রদ্ধা
Published: 21st, February 2025 GMT
তীব্র সবুজ সংকটে ভুগছে রাজধানী। উন্নয়নের করাতে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে গাছ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পলাশীমুখী র্যাম্প নির্মাণের জন্য হাতিরঝিলের একাংশ ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্কের দুই হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারানো গাছের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন বৃক্ষপ্রেমী একদল শিশু-তরুণ। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে কেটে ফেলা পাঁচটি গাছ ও বুনোফুল দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব মৃত গাছের স্মরণ ও গাছ রক্ষার দাবিতে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। পান্থকুঞ্জ পার্কে মৃত গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে, তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে ৭০ দিন ধরে এই পার্কে অবস্থান করছেন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণরা। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। কাটা গাছ দিয়েই শহীদ মিনার বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শ্রদ্ধা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পান্থকুঞ্জে ছায়া ছিল, পাখি ছিল। মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসত। পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলকে মুক্তি দিন। পান্থকুঞ্জ ধ্বংস হলে শুধু এই এলাকার মানুষ নয়, পুরো রাজধানীর বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।