কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকে বহিষ্কার
Published: 23rd, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও জুলাই স্পিরিটের পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ায় (কুমারখালী উপজেলা) শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিপন হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. হাসিবুর রহমান ও সদস্য সচিব মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও জুলাই স্পিরিটের পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ায় (কুমারখালী উপজেলা) শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে মো. রিপন হোসেনকে বহিষ্কার করা হলো।”
পাশাপাশি এ বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলার সকল সহযোদ্ধাদের প্রতি শৃঙ্খলা ও স্পিরিট পরিপন্থী কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্যও সর্তক করা হয়।
এ বিষয়ে বহিষ্কার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হোসেন বলেন, “মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগটির পুনরায় তদন্তের দাবি জানাই।”
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিধবা ভাতার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মো. রিপন হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা ছোটো খাটো ইস্যু বা কোনো অপরাধকে ছাড় দিচ্ছি না।”
প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃতির লক্ষে গত ২২ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ১৬৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে রিপন হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গঠন ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৯ ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিল ডিএসই
নয় ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন ও একটি ব্রোকারেজ হাউজকে রিসার্টিফিকেশন প্রদান করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালুকরণের লক্ষ্যে ডিএসই প্রতিষ্ঠানুগলোকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ডিএসই’র বোর্ডরুমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান৷
আরো পড়ুন:
ডিএসইর চিঠির জবাব দেয়নি খুলনা প্রিন্টিং
ইস্টার্ন কেবলসের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান কমেছে ৫৬.২৫ শতাংশ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান, আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার মো. তারিকুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিমসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো পক্ষে সার্টিফিকেশন গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও খন্দকার মাহমুদুল হাসান; ফিনট্রা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি অজিত কুমার বণিক; আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এ. এইচ. এম. নাজমুল হাসান; আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী; লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির সিইও খন্দকার সাফাত রেজা; এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের েসিইও মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার; এসএআর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক শরীফ তাশরুবা রহমান; সাউথ এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোঃ আলা উদ্দিন পাটোয়ারী এবং ওয়াইফাং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও মোঃ মাসুদুজ্জামান। এর মধ্যে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির রিসার্টিফিকেশন দেওয়া হয়েছে।
ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএসই'র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ‘‘পুঁজিবাজারের ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে ডিএসই কাজ করছে। নিয়ন্ত্রক মান বজায় রেখে ডিএসইকে গ্রাহক–কেন্দ্রিক সেবাধর্মী সংস্থায় রূপ দেওয়াই যার লক্ষ্য। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ইতিমধ্যে বিজিএমইএ, সিরামিক ও এগ্রো–কেমিক্যালসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ডিএসই আশা করছে, ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ওয়েবসাইটের আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ, ট্রেকহোল্ডারদের অনলাইন ডকুমেন্ট সাবমিশন ব্যবস্থা এবং স্টেকহোল্ডার–ফিডব্যাক ভিত্তিক কমপ্লায়েন্স ও ডেটা–প্রবাহ উন্নয়নসহ নতুন ডিজিটাল সেবা উদ্যোগ উন্মোচিত হবে।’’
ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান বলেন, ‘‘স্টক এক্সচেঞ্জের প্রযুক্তি ব্যাংকিং থেকে ভিন্ন—এখানে এক মুহূর্তের সার্ভিসও পুরো বাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক, মনোযোগী এবং স্ট্যান্ডার্ড-কমপ্লায়েন্ট থাকতে হয়। সাম্প্রতিক সেন্ট্রালাইজড সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তির অবস্থান এখন গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের খুব কাছাকাছি, কিছু ক্ষেত্রে আরও এগিয়েও। ওএমএস এপ্লিকেশনে স্থানীয় টিমকে সুযোগ দেওয়া কেবল প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়—এটি দেশের জন্য একটি গর্বের অর্জন।’’
২০২০ সাল থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিত্তিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে ৭২টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেন। আজকের ৮টিসহ মোট ৪৭টি ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৫টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল