আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে সোমবার (১০ মার্চ) নতুন দলগুলোর কাছে থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বানের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আবেদন করা যাবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিধান চালু করে এটিএম শামছুল হুদার নির্বাচন কমিশন।

নিবন্ধন চালুর পর এখন পর্যন্ত ৫৪টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।

পরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলামিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের সাতই জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করলেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে নতুন দুটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আদালতের নির্দেশে নতুন করে আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

ওই পাঁচটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার পর বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা রয়েছে ৪৯টি।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হতাহতের ছবি-ভিডিও সরাতে ও ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ চেয়ে রিট, আদেশ ৩ আগস্ট

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি ও ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। এ রিটের ওপর আদেশের জন্য ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ধার্য করেন।

ওই ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ ২৯ জুলাই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।

উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ২১ জুলাই বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত হিসাবে, ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪।

পরে আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোতে শিশুদের প্রায় পোশাকহীন, অগ্নিদগ্ধ ও আহত অবস্থায় দেখা যায়। এসব ছবি–ভিডিও শিশুদের পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের ট্রমাটাইজ (মানসিকভাবে আঘাত) করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি–ভিডিও প্রকাশে সংবেদনশীল হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ছবি ব্যবহারে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। তাই হতাহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ